Soumitrisha Kundu: তথ্য বিভ্রাটের যন্ত্রণায় আনন্দবাজার! পুজোয় লক্ষ টাকার রেট ফাঁস করতেই ক্ষুব্ধ মিঠাই-গৌরবরা

গতকাল সারাদিন ব্যাপি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি ছবি, যেখানে লেখা আছে পুজোর সেলে ব্রিটিদের দর। বিনোদন জগতে আলোড়ন ফেলতেই প্রথম শ্রেণীর সংবাদ মাধ্যম প্রথম এই ছবি প্রকাশ্যে আনে। আর তারপরই সেই খবর ঘুরতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পাতায়। পুজোর রমরমা বাজারে দর বাড়াচ্ছেন টেলিভিশন তারকারা। লক্ষ কোটি বাজেটে চলছে মন্ডপে ফিতে কাটার পরীক্ষা। টাকার অঙ্ক দেখেই মাথায় হাত আম-বাঙালির। চারিদিকে যখন সাজো সাজো রব তার মাঝেই ওঠে বিতর্কের ঝড়। তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় মিঠাই, খড়ি শনদের। নেটাজেনরা বেশ অপমানজনক মন্তব্য করতে থাকেন। ‘টাকার লোভ’ থেকে ‘ মিঠাই খড়ি এরা কারা’ এমন বলে মন্তব্য করেন অনেক ছেলেমেয়েরা।
আর এতেই বেশ ক্ষুব্ধ বাংলা ধারাবাহিকের জনপ্রিয় মুখ সৌমিতৃষা। মিঠাই ওরফে সৌমিতৃষার ভক্তরা কাল থেকেই অনবরত ভুল খবর রটানোর কথা বলছে আনন্দবাজার অনলাইনের বিরুদ্ধে। আজ সে কথায় শিলমোহর দিলেন অভিনেত্রী স্বয়ং। কী বললেন তিনি? এক অনুরাগীর পোস্ট শেয়ার করে তিনি লেখেন, ” এটা ভুল তথ্য। আমি কোনরকম ব্যক্তিগত বিষয়ে কোন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা হয়নি”! গতকাল থেকেই একাধিক নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার ছোটপর্দার এই নায়িকা। এক লহমায় হিরো থেকে ভিলেন হয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেত্রী। টাকার অঙ্ক শুনে ছোট ছোট ক্লাব কর্তাদের মাথাতেও হাত পড়েছিল। আর তাই নিজেই আনন্দবাজারের ছবির ওপর নিজের মতামত জানিয়ে জল্পনায় ইতি টানলেন মিঠাই ওরফে সৌমিতৃষা।
পুজোর মরসুমে টেলিতারকারা প্রচারের জন্য পুজো মণ্ডপে যাচ্ছেন ও লক্ষাধিক টাকার রোজগার হচ্ছে এমনই প্রতিবেদন ছিল আনন্দবাজারের তরফে। যেখানে একেবারে লাইমলাইটে ছিল দুটি নাম মিঠাইরানি ওরফে সৌমিতৃষা এবং মন ফাগুন ধারাবাহিকের ঋষি ওরফে শণ বন্দোপাধ্যায়। শন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি পুজো পিছু এক লক্ষ টাকা নেন এমন ছিল সূত্রের খবর। এদিকে সৌমিতৃষা ছিল তালিকার দ্বিতীয় স্থানে যেখানে উদ্বোধনে ৮৫ হাজার টাকা নেন সৌমিতৃষা, এমনই দাবি করা হয়। টাকার অঙ্ক দেখছে চক্ষু চড়কগাছ হওয়াই স্বাভাবিক। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে টাকার এখন সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। এ অবস্থায় অভিনেতা অভিনেত্রীদের রাশি রাশি টাকা যে জনগন ভালোভাবে নেবে না তা সৌমিতৃষা বুঝে গেছেন। তাই আগেই নিজের নাম সেখান থেকে কাটাতে বলেছেন। ক্লাবের তরফে তিনি টাকা নিতেই পারেন তবে টাকার অঙ্ক যে সংবাদমাধ্যম কে তিনি দেননি তা তার বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট। ভাবমূর্তি ধরে রাখতেই মুখ খুলেছেন মিঠাইরানি।