Mithai: সংসার চালাতে পুরানো সাইকেল নিয়ে শুরু কাজ, পথে-ঘাটে মিষ্টি বিক্রি করেই ভাত জোগাবে মিঠাই

জয়ীতা সাহা, কলকাতা: কথায় আছে যে কোনও কাজে সাফল্য পাওয়ার জন্য মনোবল সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এবার এ কথাকেই সঙ্গী করেই শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে মোদক পরিবার।মনোহরা ছাড়তে হয়েছে মিঠাইদের। নতুন বাড়িতে থাকলেও সেখানে নেই মনোহরার মতো স্বাচ্ছন্দ্য না থাকলেও আছে হুল্লোড়। মনোহরা ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে ভেঙে পড়েনি মোদক পরিবারের কেউই। মনোহরা তাঁরা ফেরাবেই এমন মনোবল নিয়ে শত্রুপক্ষের সঙ্গে লড়ে চলেছে তাঁরা। এরই মধ্যে সংসার খরচ চালাতে এবং মনোহরা ফেরাতে মিঠাইয়ের নতুন পদক্ষেপ সেই পুরোনো সাইকেলকে সঙ্গী করে পথে পথে মিষ্টি বিক্রি।
নতুন বাড়িতে থাকলেও পুজো থেকে হুল্লোড় কোনওকিছুরই অভাব রাখছে না মিঠাইরানি। মিঠাইয়ের তত্ত্বাবধানে মোদক পরিবারের নতুন বাড়িতে হয়েছে গণেশ চতুর্থী-র পুজো। এরই মধ্যে তোর্সা মনোহরা বিক্রি করার কথা বলে বেজায় চটিয়ে দেয় সকলকে। এর জেরে মিঠাইয়ের সঙ্গে বিবাদও শুরু হয় তাঁর। গণেশ চতুর্থীর পুজোতে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রমীলা সাহা। এই প্রমীলা সাহা’র পাঠানো লোকই কল মিস্ত্রির ছদ্মবেশে মনোহরায় গয়না লুকিয়ে রেখে এসেছিল।এবার ওই পুজো মণ্ডপেই সেই কল মিস্ত্রিকে দেখতে পায় সিদ্ধার্থ। কিন্তু শেষমেশ নাগাল পায়না তাঁর। এই ছদ্মবেশী মিস্ত্রি ওরফে প্রমীলা সাহা’র পাঠানো লোককে খুঁজতে রুদ্রর সাহায্য নেবে সিদ্ধার্থ। তদন্তের কারণে মোদক পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। নিয়ে নেওয়া হয়েছে গয়নাও। পুজোর অনুষ্ঠানে সিদ্ধার্থের বোনেদের গয়না পড়তে হয়েছে মিঠাইকে। এসব দেখে মন খারাপ সিদ্ধার্থের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মিঠাইকে গয়না কিনে দেবে সিদ্ধার্থ। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গয়না অনলাইন থেকে বেছেও রেখেছে সে।
সংসারের ভাড়ারে টান পড়েছে। সংসার চালাতে সেই পুরোনো সাইকেলকে সঙ্গী করে হাঁড়ি ভর্তি মিষ্টি নিয়ে বেড়িয়ে পরবে মিঠাই। সব প্রস্তুতিও শেষ করে ফেলেছে সে।যদিও এ বিষয়ে এখনও কিছু জানে না সিদ্ধার্থ। নতুন পর্বে মিঠাইয়ের পথে ঘুরে ঘুরে মিষ্টি বিক্রির প্রসঙ্গে সিদ্ধার্থের কি সিদ্ধান্ত হয়, কিভাবেই বা শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হবে তাঁরা? মিঠাই পারবে কি মনোহরা বাঁচাতে? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে চোখ রাখতে হবে টিভির পর্দায়।