Mithai: অন্যের গয়নায় মিঠাইকে দেখে মন খারাপ সিডের, অভাবের ঘরেও প্রেমের উল বুনতে ভোলেনি সিধাই জুটি

বাংলা ধারাবাহিকের যুগবদল ঘটিয়েছিল ‘মিঠাই’ ( Mithai )। আট থেকে আশিকে টিভির সামনে হাজির করতে মিঠাইয়ের অবদান কম নয়। কয়েক সপ্তাহ টানটান উত্তেজনার পর সাময়িক ভাটা পড়েছে ধারাবাহিকে। ওমি নিকেশের পর নেমেছে নতুন দুর্যোগ। দাদা আদিত্যর প্যাঁচে সর্বসান্ত সিড। কাউন্সিলার প্রমীলার কুনজরে পড়েছে মনোহরা। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়ে সোনার বাট। অর্থাৎ কালোবাজারির দায়ে পথে বসেছে তারা। মিষ্টির ব্যবসায় ঝুলেছে তারা। রঙচঙে মনোহরাবাসীর এখন বেরঙিন জীবন।

ভাঙা বাড়ির পলেস্তারা খসা দেওয়ালের মাঝে সুখ নীড় সাজিয়েছে মিঠাই। নেই কোন বাহুল্যের চিহ্ন মাত্র। মাথায় রয়েছে বাড়ি, ব্যবসা ফিরিয়ে আনার চিন্তা। দিন গুজরান করতে উঠছে নাভিশ্বাস। এরমাঝেও দাম্পত্য প্রেমের লেশ মাত্র কমেনি। হাতে হাত রেখে পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছে মিঠাই-সিড ( Mithai- sid )। সর্বস্ব হারিয়েও প্রমিলার কাছে মাথা ঝোঁকায়নি। প্রমিলাকে জবাব দিতেই সাড়ম্বরে হয়েছে গনেশ পূজা ( Ganesh Puja)।

গনেশ পূজায় নতুন শাড়ি, গহনায় সেজেছিল মিঠাই, দিদিয়া নন্দা সাজিয়েছিল তার নিজের গহনা দিয়ে। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষেই আবার সেই ছিন্ন বেশে। মিঠাইয়ের নিরাভরণ চেহারা দেখে সিডের বেজায় মন খারাপ। কিন্তু মিঠাই রানি কি মুখভার দেখে থাকতে পারে। তবে সে জানায় গয়নার জন্য কোন আফসোস নেই তার শুধু একটাই কষ্ট। এই বলে হাত বাড়িয়ে দেয় সিডের দিকে। বিবাহ বার্ষিকীতে সিডের দেওয়া আংটিটাও জমা করতে হয়েছে। তার জায়গায় বাঁধা কালো সুতো। সিডের দেওয়া এই আংটির মূল্য মিঠাইয়ের কাছে কি তা কেবল মিঠাই জানে!

ভাড়া বাড়ির মালিকের কড়াকড়িতে নাজেহাল জীবন। না আছে পাখা, বেশি রাত অবধি আলো জ্বালাও মানা। আর সে জন্য কষ্ট করতে হচ্ছে রাতে। উচ্ছেবাবু তো ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ছে। মিঠাই তাকে করছে হাত পাখার বাতাস। পালা করে দুজন দুজনের জন্য রাত জাগছে। আর এসব আবেগ প্রবণ দৃশ্য দেখে চোখ জলে ভরছে মিঠাই প্রেমীদের। কবে আসবে সুদিন? তার অপেক্ষায় দিন গুনছে সব মিঠাই অনুরাগীরা।




Back to top button