Aay tobe sohochri: শাশুড়ি-বৌমা কলেজ পাস, খড়কুটো, মন ফাগুনের পর অন্তিম পর্ব দিয়ে বিদায় দেবে ‛আয় তবে সহচরী’

হাল ছাড়া তরী কি চলে? একেবারেই না। ডুবে যায় অচিরেই। এ যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সহচরী ওরফে কনীনিকা ছাড়া আয় তবে সহচরী ‘নাবিক হীন তরী’র মতোই। তাই অবশেষে শেষ পর্বে উপনীত ‘আয় তবে সহচরীর’ শেষ পর্ব। তড়িঘড়ি করে ইতি টানতেই যেন কিছুটা বেসামাল আয় তবে সহচরী। কি কি ঘটল শেষ পর্বে?

এক নতুন সকাল এল সহচরীর সেটে। আনন্দে সেজে উঠল গোটা বাড়ি। সমস্ত কিছু ঘটছে ইতিবাচক। খবর এল কলেজে প্রথম স্থানাধিকারী আর সহচরী ফার্স্টক্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এরপরই খুশির জোয়ার বয়ে যায় বাড়িতে। শুধু একটাই শূন্যস্থান। সেটে নেই সহচরী। ফোন করে সহচরীর সঙ্গে কথা বলে বরফি। সহচরীর স্বামীও শুভেচ্ছা জানাল। তবু ফাঁক থেকে গেল। সহচরী শূন্য ধারাবাহিকে।

তবে শূন্যতার জায়গায় স্থান করে নিয়েছে বৌভাতের অনুষ্ঠান। হাসি মজা করে বৌভাতের আয়োজন করেছে বরফি আর টিপু। লাল রঙা শাড়িতে সুন্দর সাজিয়ে দিয়েছে বরফিকে। এদিকে টিপু ও কিনে এনেছে আংটি। বৌভাতের রাতেও হয়েছে মজা। কাকাই বৌ সেজে প্রাঙ্ক করেছে টিপুকে। হুল্লোড় শেষে একে অপরকে ভালোবাসার কথা জানিয়েছে তারা। টিপু-বরফির মিলনেই ইতি টেনেছে সহচরী হীন ‘আয় তবে সহচরী’।

শিরদাঁড়ায় গুরুতর জটিলতা দেখা দিয়েছিল সহচরী ওরফে কনীনিকার। চেন্নাইয়ে হয়েছিল অস্ত্রোপচার। আপাতত কিছুটা হলেও সুস্থ অভিনেত্রী। ফিরেছেন বাড়িতে। অস্ত্রোপচারের পর বিশ্রামে কণীনিকা। কিন্তু তাঁর কণ্ঠস্বর এখনও পুরোপুরি ফিরে আসেনি। বুধবার লাইভে এ বিষয়ে অনুরাগীদের বিস্তারিত জানানষ অভিনেত্রী। মুখে হাসি ধরে রেখে তিনি বলেন, ‘আমি ডিপ্রেশনে যায়নি। আজ একটু ভালো করে কথা বলতে পারছি বলে তোমাদের সঙ্গে লাইভে আসা। এর আগে আমার গলা দিয়ে শুধুই হওয়া বেরচ্ছিল… সবে একটা মাস হয়েছে। আশা করি আরও এক-দু’মাসের মধ্যে আমার গলা ফেরত আসবে।’ দুঃসময়ে পরিবার এবং অনুরাগীদের পাশে পেয়েছি। কণীনিকার বিশ্বাস, যাবতীয় জটিলতার সঙ্গে লড়াই করে খুব শীঘ্রই তিনি ফিরে আসবেন।এখন বেশি কিছু দিন কাজ করবেন না কণীনিকা। সহচরী-হীন ‘আয় তবে সহচরী’। তাই ধারাবাহিকটিকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নির্মাতারা। অবশেষে বিদায় ঘন্টা বেজে গেল।




Back to top button