Lalkuthi: এ যেন আসল-নকলের খেলা, লালকুঠিতে বছর ১২ পর কোন ‘জিনি’র আগমন, দ্বন্দ্বে দর্শক

বনেদি বা জমিদার বাড়ির ইতিহাস, পাতায় পাতায় রহস্যের হাতছানি কার না ভালো লাগে বলুন? তবে গল্পের বই নয়, একেবারে ‘জি’-এর ( Zee Bangla ) পর্দায় ভৌতিক গল্পের সূচনা হয়েছিল বেশ কিছু মাস আগে। তবে গল্প এগোতেই তা ভূত বিহীন ভূতের গল্পে মোড় নিয়েছে। মুখ্য চরিত্রে রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জী ও রুকমা রায়ের ( Rooqma Ray- Rahul Banerjee ) জুটি রয়েছে। তবে প্রথম কিছু মাস ভাটা পড়লেও, বর্তমানে আবার টান টান পর্বে জমে উঠেছে ‘লালকুঠি’ ( Lal kuthi )। জিনি কে? এই রহস্য আপাতত ভেদ হয়েছে দর্শকের চোখে। তবে সামনে এসেছে নতুন ধাঁধা। আসল জিনি আর নকল জিনি। আর সেই নিয়েই কোন দিকে এগোবে গল্প তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে ইতিমধ্যেই। আসুন দেখে নিই কি ঘটছে ‘লালকুঠি’র অন্তরালে?
অনামিকাই আসল জিনি। এই অনামিকা আসলে রুকমা রায়। কিন্তু নিজেকে ঢাকতে সে অভিনেত্রী অনামিকাকে জিনি সাজিয়ে হাজির করেছে লালকুঠিতে। হোটেলে সেদিন বিক্রমকে চমকে দিয়েছিল পুরুষালি পোশাকে সাজা এই নকল জিনি। তবে পরের পর্বে দর্শকদের কাছে ফাঁস হয় আসল ঘটনা। জিনি আসলে অনামিকা, কিন্তু নকল জিনি সাজিয়ে সেই রহস্য উদঘাটন করতে পাঠিয়েছে অন্য কাউকে। এর একটাই কারণ জিনি কাছে থেকে দেখতে চায় নকল জিনিকে দেখে কার কী রকম প্রতিক্রিয়া হয়। বারো বছর আগে ঘটা খুনের প্রতিশোধ নিতে চায় সে। ফলে নিরাপধীদের ছেড়ে আসল খুনিকে খুঁজে বের করতে চায় সে।
নকল জিনি বাড়িতে আসলে সকলেই চমকে ওঠে। মামা তো আগেই ভয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। মামীও কাঁপতে থাকে। বিক্রমের মা তো অসুস্থ হয়ে পরে কিন্তু বিশ্বাস করতে চায় না জিনি বেঁচে আছে। কারণ জিনি এদের সকলের কাছে মৃত। বিক্রমের বাবা বলেন পুলিশে দেওয়ার কথা। কারণ তাদের ধারণা মৃত জিনির নাম করে অন্য কেউ বাড়িতে ঢুকছে। কিন্তু জিনি ফিরে আসায় খুশি হয় বীথি দি। নকল জিনিকে যখন বাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়, তখন পাশে এসে দাঁড়ায় ঠাম্মি। তাকে যেতে বাধা দেয় ঠাম্মি। কারণ ঠাম্মি একমাত্র জানতেন জিনি বেঁচে আছে। তবে এর মধ্যে আছে অনেক টুইস্ট।
আসল জিনি অর্থাৎ অনামিকা যখন বাড়ির সকলের ওপর নজর রাখছে,তখন অনামিকার ওপর আরও কড়া নজর রাখছে বিক্রম। কারণ বিক্রম জানে তার স্ত্রী অনামিকাই জিনি। আর সেজন্য হোটেলে দেখা নকল জিনিকে সে বিশ্বাস করেনি। তবে সাজানো জিনির হাতে রয়েছে হাজার প্রমাণ যা সে বিক্রমের বাবা মাকে দেখিয়ে বিশ্বাস করতে বলে। জিনি বিক্রমের ব্যক্তিগত প্রশ্নের বেড়াজাল পেরিয়ে নিজেকে জিনি প্রমাণের চেষ্টা করে। এসব প্রমাণ ও তথ্য তাকে অনামিকা অর্থাৎ আসল জিনি দিয়েছে। এমনকি তার হাতে থাকা সেই বিশেষ চিহ্ন টাও নকল জিনির হাতে আছে। তবে সমাধানের পথে না গিয়ে জিনি রহস্য ক্রমশ জটিল হচ্ছে দর্শকের আশংকা, নকল জিনি এত প্রমাণ দেখিয়ে একদিন নিজেকে আসল প্রমাণ করবে। আর আসল জিনি নিজেকে ‘আসল ‘ প্রমাণ করতে নাজেহাল হয়ে যাবে। তবে এসমস্তটাই দর্শকের আন্দাজ মাত্র। রহস্যময় গল্পের কোনও কিছু পূর্ব নির্ধারিত নয়। কোন একদিকে নিশ্চয়ই মোড় নেবে জিনির গল্প।