Viral Video: বয়স তো শুধুই সংখ্যা, খুশির ফেরিওয়ালা সত্তরের বৃদ্ধা! আজও ট্রেন চেপে বিক্রি করেন চকোলেট

পরিশ্রমের কোন বিকল্প হয় না। আট হোক বা আশি সম্মানের সঙ্গে উপার্জন করা মানুষ গুলোর চেয়ে পরিশ্রমী আর কেউ নেই। আর এই কথাকেই আবার যেন প্রমাণ করে দিলেন  মুম্বাই লোকাল ট্রেনে চকোলেট বিক্রি করা সেই মহিলা। চেনেন নাকি তাকে? বয়স সত্তরের এই মহিলা তার দিন গুজরানের জন্য ফেরি করেন লোকাল ট্রেন। ম্যাজিক দীদার হাতে চকোলেট খেতে বাচ্চারা খুব ভালোবাসে।

চকোলেটের বাক্স নিয়ে এক যাত্রী থেকে অন্য যাত্রীর কাছে যান মহিলা। পরনে শালোয়ার কামিজ, বয়সের ছাপ চোখে মুখে, অথচ অমলিন হাসি নিয়ে খুশি বিলি করে বেড়ান মানুষের মাঝে। মোনা এফ খানের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন এই খুশির ফেরিওয়ালার ভিডিয়ো। ভিডিয়োটি দিল্লি কমিশন ফর উইমেনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল টুইটারে পুনরায় শেয়ার করেছেন। ফলে মুহুর্তেই মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। সকলেই বৃদ্ধার মঙ্গল কামনা করেছেন। অনেকেই বলেছে সমাজের এমন ইতিবাচক ছবি বারবার উঠে আসুক।


ভিডিয়ো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলছে ‘মানা কি মুশকিল হ্যায় সফর পার সুন ও মুসাফির’ গানটি। ভিডিয়ো আবেগকে যেন আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে গানটি। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা “এই বৃদ্ধার মতো হাজার হাজার মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে তাদের প্রতিদিনের রুটিরুজি উপার্জন করে । যদি সম্ভব হয়, তাদের কাছ থেকে কিছু কিনুন।” ভিডিওটি ১ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। লোকেরা তার কঠোর পরিশ্রমের জন্য মহিলাকে স্যালুট জানিয়েছে।

এর আগে, এক বয়স্ক দম্পতির রাস্তায় মাত্র ১০ টাকায়  পোহা বিক্রি করার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। নাগপুরের তান্ডাপেঠের পন্ডিত নেহেরু কনভেন্টের কাছে রাস্তার ধারে একটি ছোট স্টল চালান এই বৃদ্ধ দম্পতি । ফুড ব্লগার জুটি বিবেক এবং আয়েশার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দম্পতিকে ১০ টাকায় একটি প্লেট পোহা এবং মাত্র ১৫ টাকায় আলু বোন্ডা পরিবেশন করতে দেখা যায়। বয়স্ক লোকটি জানায় যে তারা ভোরের আগে ঘুম থেকে ওঠে, তাদের খাবার তৈরি করে এবং রাস্তার পাশে একটি স্টল দেয় সকাল ৬টায়।অন্যদিকে, মহিলাকে দেখা যায় মুখে চওড়া হাসি নিয়ে পোহা বানাতে। ভিডিওটি চলাকালীন মহিলাটি জানান যে তাদের ভাড়া এবং অন্যান্য বিল পরিশোধের জন্য জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন এই কষ্টসাধ্য জীবন। এই বয়স্ক দম্পতির অদম্য জেদ তাদের জীবনযুদ্ধে এগিয়ে দিয়েছে।

পথে ঘাটে ভিক্ষুকের অসহায়তার ছবি যেমন আকছার দেখা যায়, তেমন ই নিজের অসহায়তাকে শক্তি বানিয়ে নেওয়া মানুষের সংখ্যা মোটেই কম নয়। অভাব অভিযোগকে দূরে ঠেলে ক্ষিধের জ্বালায় রিকশা টানেন বয়স আশির বৃদ্ধ টি। আবার ঘরে ছোট ভাই বোনদের মুখে অন্ন তুলে দিতে ইঁট বয় বছর আটেকের ছেলেটি। সমাজে রুটি রুজির জন্য দিনপাত করা মানুষগুলি আমাদের সম্মানের সবচেয়ে বেশি দাবিদার।




Back to top button