Ballavpurer Rupkatha: বল্লভপুরের রাজবাড়ির মায়াবী আলোয় ফুটছে কেন লাল গোলাপ! টিজারে চমক অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যের

অমাবস্যার রাতে, কারা আপন খেলায় যাতে? পোড়ো রাজবাড়ির অন্দরে কারা করে ছোটুছুটি? জ্বলে নেবে আলো, শোনা যায় ফিসফাস, আর হাসি কুটোপুটি। ঘুটে ঘুটে অন্ধকারে পোড়ো বাড়ির মাথার উপর কেন ফোটে লাল গোলাপ? সব উত্তর পেতে হলে যেতে হবে ‘বল্লভপুরের রাজবাড়িতে’। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ (Ballabhpurer Roopkatha) -র টিজার। অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য (Anirban Bhattacharyya) এবার বড়ো পর্দার পরিচালক।
অভিনেতা অনির্বাণের জনপ্রিয়তা বলে দেয় তার প্রতিভার মূল্য। নাট্যমঞ্চ থেকে ওয়েবসিরিজ, সিনেমা নিজের বহুমুখী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন অনেক আগেই।’মন্দার’ ওয়েবসিরিজের হাত ধরে পরিচালনায় পা রেখেছিলেন অভিনেতা। পরিচালক হিসেবেও মুগ্ধ করেছেন দর্শককে তাই এবার অর্নিবানের মুকুটে নয়া পালক। বড়পর্দায় অভিষেক ঘটবে ‘বল্লভপুরের রূপকথা’র হাত ধরেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবির পোস্টার শেয়ার করে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের (SVF)-এর তরফ থেকে লেখা হয়েছিল, ‘রাত একটু বাড়লে পরে, ভূতে এসে নেত্য করে!’ তারপরেই প্রকাশ্যে এল টিজার। প্রযোজনা সংস্থার থেকে জানা গিয়েছিল , ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ একটি হরর কমেডি। ভূতহীন ভয়ের গপ্পো। মজার মোড়কে ভৌতিক গল্প শোনাবেন অনির্বাণ। তবে সর্বাগ্রে এই ছবির কৃতিত্ব যার প্রাপ্য তিনি বাদল সরকার। বাদল সরকারের বিখ্যাত নাটক ‘বল্লভপুরের রূপকথা’-র অনুকরণে তৈরি হয়েছে এই ছবি।
বল্লভপুর রাজবাড়ির শেষ বংশধরের সঙ্গে ঘটে চলা অদ্ভুতুড়ে গল্পের ভান্ডার হল বল্লভপুরের রূপকথার বিষয়বস্তু। জরাজীর্ণ রাজবাড়ির বাসিন্দা বলতে মাত্র ২ জন। ভেঙে পড়া রাজবাড়ির মতোই তাদের আর্থিক অবস্থাও সর্বসান্ত। গলা পর্যন্ত ঋণে ডুবে রয়েছেন বংশধরেরা। তাই মায়াবী আলোয় যেন রাজবাড়ীকে ঘিরে রহস্যের মায়াজাল বোনে একফালি চাঁদ। বিলাসিতার একমাত্র নমুনা হিসেবে ফুটে থাকে একটি গোলাপ। কামান যেন ঢাল তরোয়াল হীন ক্ষয়িত রাজগৌরবের ধ্বজার মতোই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে।রাতে চোখে পড়লে হার হিম হয়ে যায়। কার গাড়ি বেরিয়ে গেল হুস করে? কে করে চিৎকার? কি ঘটে সেখানে? সব উত্তর পাওয়া যাবে দীপাবলির বিশেষ সময়ে। ভূত চতুর্দশীতেই বল্লভপুরের ভূতেরা ছাড়া পাবে পর্দায়।