Pilu: বিন্দির জারিজুরি শেষ! পাগল সেজেই বাজিমাৎ রঞ্জার, অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক

বাংলা ধারাবাহিকের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক জি বাংলার পিলু। নামে পিলু হলেও ধারাবাহিক কেন্দ্রবিন্দু রঞ্জান মল্লারের জীবন সমস্যা নিয়ে। ধারাবাহিকে রঞ্জা মল্লারের প্রেমে আজও আটকে দর্শকের চোখ। তবে তাদের প্রেমের মাঝে কাঁটার মতো বিঁধে আছে বিন্দি। পিলুর নিয়মিত দর্শকরা জানে মল্লারকে স্বামী হিসেবে পেতে চায় বিন্দি। সেজন্য যে কোন সীমা পার করতে পারে সে। এই কারণেই মল্লারের ওপর বদলা নিতে মিথ্যা খুনের মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠায়। রঞ্জা-মল্লার-বিন্দির ত্রিকোণ প্রেমের গল্প জমে উঠেছে।
বেনারস থেকেই বিন্দির রহস্যের জট ক্রমশ বাড়ছে। বিন্দি মল্লারের আদৌ বিয়ে হয়েছিল কিনা তা জানতেই বেনারস গিয়েছিল রঞ্জা মল্লার , আহির পিলু সকলেই। প্রমাণ পেলেও তা নিয়ে উল্লাস করার আগেই ঘটনার ঘনঘটা ঘটতে থাকে। রঞ্জাকে জলে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া থেকে, মল্লারকে মিথ্যা খুনের মামলায় ফাঁসানো একে একে জাল বিস্তার করতে থাকে বিন্দি। রটিয়ে দেয় বিন্দি মারা গেছে, আর ভুয়ো মৃতদেহ এনে হাজির করে সেখানে। মল্লারকে জেলে ধরে নিয়ে যায় বিন্দি খুনের মামলায়। এরপর মল্লারকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য কোমর বাঁধে রঞ্জা। আর অভিনয়ের ভিতর অভিনয় করে চমকে দেয় সে। কি ঘটল পিলুতে?
রঞ্জাকে দেখা গেল নতুন ভূমিকায়। মল্লারকে নিরাপরাধ প্রমাণ করতে পাগলের সাজে অ্যাসাইলামে যায় রঞ্জা। সেখানে বাকি মানসিক বিকারগ্রস্তদের সঙ্গে থেকে অবিকল তাদের সঙ্গে মিশে যায়। রঞ্জার দুর্দশা দেখতে সেখানে গবেষকের ছদ্মবেশে আসে বিন্দি। একের পর এক ঘটনার কথা নিজের মুখে স্বীকার করেন। আর সেইসব স্বীকারোক্তি রেকর্ড হয়ে যায় রঞ্জার ফোনে। আর তার পরই নিজ মূর্তি ধারণ করে রঞ্জা। পরিষ্কার বুঝিয়ে দেয় সে মোটেও বিকারগ্রস্ত নয়। এরপরই রঞ্জাকে বিশাল ছুঁচালো লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে বিন্দি। একেবারে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য উদ্যত হয়। কিন্তু রঞ্জা রীতিমতো লড়াই করে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে, তারপর পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
অসাধারণ এই পর্বের পর রঞ্জার চরিত্রটিকে প্রশংসায় ভরাচ্ছে দর্শক। রঞ্জার চরিত্রে এমনিও রয়েছে অনেকগুলি স্তর। ভিলেন রঞ্জা থেকে প্রতিবাদী রঞ্জা, স্ত্রী রঞ্জা থেকে প্রেমিকা রঞ্জা, সহধর্মিনী রঞ্জা থেকে আজ যোদ্ধা রঞ্জায় উত্তীর্ণ হয়েছে সে। পাগলের চরিত্রেও এতো সুনিপুণ অভিনয় করেছে যে কয়েক মুহুর্তের মধ্যেই ছাপ ফেলে গেছে দর্শকদের মনে। সকলেই একেবারে মন্ত্রমুগ্ধ রঞ্জাকে দেখে। রঞ্জা চরিত্রে ঈধিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুরাগীরা।