Nusrat jahan: ‘সব হাড্ডি বেরিয়ে এসেছে!’ পুজোর সাজে ট্রোলের শিকার যশ- পত্নী নুসরত

হাল ফ্যাশনে ট্রোলিং যেন সকলের কাছে উপভোগের এক আকর্ষণীয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আর বিষয়টা যখন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরাতকে ঘিরে তখন তো ট্রোলিং হবেই। পুজোর সময় সকলেই যখন নিজের আনন্দ টুকু ভাগ করে নিতে প্রস্তুত। তখনও অভিনেত্রীকে নিয়ে চর্চার পড়ে গেল ধুম। পোশাক নিয়ে, রোগা হওয়া নিয়ে তো কখনও হিন্দু উৎসবে সামিল হওয়া নিয়ে দর্শকের কটাক্ষের মুখে পরতে হল তাকে। ষষ্ঠীর সকালে নিজের শাড়ি লুক শেয়ার করতেই তার সমালোচনায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন এক শ্রেণীর দর্শক। কি ঘটেছিল?

সন্তান জন্মের পর অনেক মানুষের শারীরিক গঠনের পরিবর্তন ঘটে। নুসরাতের পুত্র জন্ম নেওয়ার পর তিনি অতিরিক্ত রোগা হয়ে গিয়েছেন। শরীরের নিয়মে অথবা স্বেচ্ছায় তিনি রোগা হয়েছেন। কিন্তু তাতে শাড়ি পড়া আটকে থাকে কেন! রানি কালারের সিল্ক, তার সঙ্গে ভলভেটের ব্লাউজ। কানে বড় ঝুমকো। মাথার খোঁপায় লাগানো জুঁইয়ের মালা। আর সিঁথি জ্বলজ্বল করছে নুসরতের রাঙা সিঁদুর। এই ছবিতে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে এই সিঁদুর। তিনি জাতিতে ছিলেন মুসলিম। ইয়াস দাশগুপ্তকে বিয়ে করে তিনি হিন্দু হয়েছেন। তার এই সাজসজ্জা তার চেনা সাজের বাইরে। আর তাই সমালোচনার আসর বসেছে।


তাঁর মাথায় সিঁদুর পরা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তার ধর্ম নিয়ে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মুসলিম হয়েও হিন্দু ধর্ম পালন করে, মাথায় সিঁদুর পরে। এরকম নারীদের দোজখে যাওয়া উচিত।’ সঙ্গে আরও প্রশ্ন, ‘তুমি নিশ্চিত তো এই মাথার সিঁদুরটা যশের নামেরই পরেছো?’ গত বছর পুজোর পরপরই নিজেকে যশের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছিলেন নুসরত। যদিও বিয়েটা কবে হয়েছে তা বিস্তারিত জানা যায়নি। পুজোর আগে অগস্ট মাসে জন্ম দিয়েছিলেন ছেলে ঈশানের। যার পিতৃ-পরিচয় নিয়েও অনেক কথা হয়েছিল কারণ তখন নুসরাতের প্রাক্তন স্বামী নিখিল জৈন সন্তানটি অস্বীকার করেন। এমনকি বিয়ে নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন ওঠে। পরে বার্থ সার্টিফিকেটটাই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যায় ঈশান আসলে যশের সন্তান।
img 20221002 104001
২০১৯ সালের জুন মাসে তুরস্কের বোদরুমে রাজকীয় বিয়ে সেরেছিলেন নুসরত জাহান পোশাক ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে। তবে সেই বিয়ে ভারতের ‘স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৪’ হিসেবে হয়নি। ফলত গত বছরই তা আলিপুর আদালতে খারিজ হয়ে যায়। আপাতত যশের সঙ্গে তাঁপ সুখের সংসার। তাঁদের ছেলে ঈশান তো আছেই, যশের আগেরপক্ষের ছেলে রিয়াংশও তাঁদের সঙ্গেই থাকে বলে খবর। কিন্তু ইতিবাচকের থেকে নেতিবাচকতার প্রতি প্রবল আকর্ষণ বিপদ ঘটায়।

এদিকে বারংবার রোগা হ ওয়া নিয়ে কটাক্ষ আসতে থাকে। কেউ বলেন ‘অসুস্থ লাগছে তোমাকে’। তো অন্য এক মন্তব্যকারী লিখেছেন, ‘সব হাড্ডি বেরিয় এসেছে, এবার তো ঝড় দিলে উড়ে যাবে’। তবে সব নেগেটিভিটি সরিয়ে রেখে পুজোর কটা দিন যশ নুসরতকে খোশমেজাজে পাওয়া যাবে বলে আপ্লুত তাদের অনুরাগীরা।




Back to top button