Nana Patekar: সেরা অভিনেতার গায়েও কালির দাগ! তনুশ্রী দত্তের শ্লীলতাহানির অভিযোগে মুখ ঢেকেছিলেন নানা পাটেকর

সিনেমার রঙিন জগতের তলায় অনেক অন্ধকার রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে অভিনেতা অভিনেত্রীরা অভিনয় জীবন থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু বেশিরভাগ অনেকেই নিরুত্তর রয়েছেন। যারা অভিযোগে মুখ খুলেছেন অনেকেই হারিয়ে গিয়েছেন চোরাবালিতে। ‘আসিক বানায়া আপনে’ গানের অনুশ্রী দত্ত নামের বাঙালি নায়িকার বলিউড ডেবিউ মনে পরে? নিজের অপমান নিয়ে মুখ খুলে বিপাকে পরেছিলেন অভিনেত্রী। আর তার পরেই
হারিয়ে গেলেন সিলভার স্ক্রিন থেকে। নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে আনা শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে বিস্ফোরক হয়ে উঠেছিলেন তনুশ্রী। কিন্তু তার অভিযোগের ওপর তাচ্ছিল্যের হাসি হেসেছিলেন নানা পাটেকর। আজও সেই ঘটনা অমীমাংসিত থেকে গেছে।
সাল ২০০৮ , জুম টিভিতে একটি সাক্ষাৎকারে তনুশ্রী জানিয়েছিলেন তিনি কীভাবে হিন্দি ছবি হর্ন ওকে প্লিস -এর সেটে শ্লীলতাহানির শিকার হন নামে পাটেকর এর হাতে। নানা পাটেকর ও তনুশ্রীর একটি একক গানে শ্যুটিং ছিল। সেসময় নানা সময় নানা ছুতোয় অভিনেত্রীকে অশ্লীল স্পর্শ করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ করেন অভিনেত্রী। তাঁর হাত ধরে টানার চেষ্টা করেন এমনকী কিছু অন্তরঙ্গ দৃশ্য যুক্ত করার জন্য পরিচালককে অনুরোধ করে বলে অভিযোগ করেন অভিনেত্রী। তনুশ্রী যখন সেট ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন তখনও গাড়ির ওপর গুন্ডা দিয়ে আক্রমণ চালান এমনটাও শোনা যায়।
নানা পাটেকর সেদিনের অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন, “এতে আমি কী করতে পারি? তুমি আমাকে বলো.”
যখন আরও অনুসন্ধান করা হয়, তখন তিনি হাসছিলেন এবং বলেছিলেন, “সে যৌন হয়রানি বলতে কী বোঝায়? আমার সাথে সেটে ৫০-১০০ জন লোক ছিল [সেই সময়]…”
এবং এরপরেও অভিনেত্রীর অভিযোগ যে নানা ভাবে অভিযোগ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। এইসব ঘটনার জেরে চিরকালের জন্য বলিউড ত্যাগ করেন অভিনেত্রী। এমনকি অভিনেত্রীর পক্ষে কেউ সেদিন ছিলেন না। তিনি আরও বলেন যে প্রযোজক এবং পরিচালক তার হয়রানির সাথে জড়িত ছিলেন এবং নানা পাটেকরের সম্পর্কে তার অভিযোগে কর্ণপাত তারা কেউ করেননি।
হর্ন ওকে প্লিসের পরিচালক রাকেশ সারং বলেন যে তনুশ্রীর বুঝতে কোথাও ভুল হয়েছে। নানা পাটেকর দৃশ্যত বহু বছর পর একটি গানের শুটিং করছেন যার কারণে তিনি সেদিন খুব উত্তেজিত ছিলেন। কিন্তু ৪০০ লোকের ভীরে তিনি কোন খারাপ কাজ করতে পারেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। নৃত্য কৌশলী গনেশ আচার্য মূলত এই অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘নাথানি উতারো’ সবসময় একটি ডুয়েট গান ছিল। সেদিন কিছু “ভুল বোঝাবুঝির” কারণে শুটিং স্থগিত হয়েছিল। তবে নানা পাটেকর কোনরকম অন্যায় করেছেন বলে মনে করেননি তিনি।
এরই মধ্যে বলিউডের আরও দুই তারকাকে প্রশ্ন করা হয় বিতর্কের বিষয়ে। অমিতাভ বচ্চন বলেছিলেন যে যেহেতু তিনি তনুশ্রী এবং নানা পাটেকরের সাথে সম্পূর্ণ সম্পর্কহীন ছিলেন সেসময় তাই তিনি এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। এমনকী আমির খানও তেমন ভাবেই বলেন বিষয়টির সত্যতা না জেনে তিনি মন্তব্য করতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত।