বিচ্ছেদ আলোচনা অতীত! ‘অপরাজিতর’ পাশে দাঁড়িয়ে ‘ছবিওয়ালা’ জিতু
এবার 'ছবিওয়ালা' হলেন জিতু!

টলি অভিনেতা জিতু কমল (Jeetu Kamal) ও টলি অভিনেত্রী নবনীতা দাসের (Nabanita Das) বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র। কিছুদিন আগে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে নবনীতা ঘোষণা করেন, বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে তাঁদের। অভিনেত্রী এও জানান, বিগত তিন মাস আলাদা থেকেছেন তাঁরা। এরপর গোটা বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। দুজনের সম্পর্কের মাঝে ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হিসেবে অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর নামও উঠেছিল। তবে ফেসবুক লাইভে এসে নবনীতা জানিয়ে দিয়েছেন ‘কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ হোক’। জিতুর সঙ্গে তাঁর ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত একান্ত তাঁদের দূজনের। শ্রাবন্তীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। তাই শ্রাবন্তীর নামে কোনোও কটূ কথা সহ্য করবেন না তিনি। সর্বদা নেটিজেনদের চোখ রয়েছে দম্পতির সোশ্যাল মিডিয়ায়। নতুন ছবি পোস্ট হলেই ধেয়ে আসছে কমেন্টস ঝড়।
তবে ডিভোর্স নিয়ে চারিধারে আলোচনা চললেও তাতে কান দিতে নারাজ জিতু ও নবনীতা। দুজনের
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিত্য নতুন ছবির পসরা তাই বলছে। মাঝেমধ্যেই ফটোশ্যুট করে চমকে দিচ্ছেন দম্পতি। এরইমধ্যে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে অনুরাগীদের উপহার দিলেন জিতু।
অভিনেতা জিতু কমলের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে
পোস্ট হওয়া নতুন তিনটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, স্বনামধন্য চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ছবির পাশে দাঁড়িয়ে উদাসী দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন জিতু। তাঁর মুখে লেগে চিলতে হাসি। আবার একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে দেওয়াল ভর্তি ফ্রেমের সামনে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন জিতু। দেওয়াল জুড়ে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, মাদার টেরেসা, দূর্গাপুজো,’সিটি অফ জয়’-সহ অন্যান্য ছবি। ছবির ক্যাপশনে অভিনেতা লিখেছেন ‘ছবিওয়ালা’। আর কমেন্টস সেকশনে অনুরাগীরা লিখেছেন, “এটা তোমার বেস্ট ছবি…।”
গত বছর অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ ছবিতে সত্যজিৎ রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন জিতু কমল। তাঁর অভিনয় বিশেষ প্রশংসিত হয়েছিল সিনেমহলে। তাই ফের একবার বাস্তবের ‘অপরাজিত’ ও পর্দার ‘অপরাজিত’ কে পাশাপাশি দেখে আবেগে ভাসছেন অনুরাগীরা। প্রসঙ্গত, জিতু নবনীতার ডিভোর্স জল্পনায় এবার পরকীয়ার সম্ভাবনা সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে, অভিনেত্রী নবনীতার বিশেষ বন্ধু স্নেহাল অধিকারীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে তাঁদের। তবে কথাটির সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে মাঝেমধ্যেই দুজনের সোশ্যাল পোস্টে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন নেটিজেনেরা।