রাজনীতি করেন না বলেই কি ‘মহানায়ক’ নন জিৎ? ক্ষুব্ধ অনুরাগীরা
দেব-সোহম হলে জিৎ নয় কেন?

কৌশিক, কলকাতা: বাঙালি মহানায়ক বলতে একজনকেই বোঝে। তিনি উত্তম কুমার। এক এবং অদ্বিতীয়। ভুবনভোলানো হাসি আর মন কেমন করা চাহনিতে আপামর জনতা কাত। বুকের মধ্যে কে যেন গুনগুন করে ওঠে, ‘হৃদমাঝারে রাখব ছেড়ে দেব না’।
ইদানীং সব কেমন যেন গোলমাল হয়ে গেছে। বাংলা টেলি ইন্ডাস্ট্রির সবাই ‘মহানায়ক’। দেব, সোহম থেকে অঙ্কুশ, এমনকী নুসরত জাহানরাও। আসলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সাংস্কৃতিক জগতে একটি পুরস্কার চালু করেছেন। রুপোলি পর্দাদের তারকাদের সেখানে পুরস্কৃত করা হয়। সেই পুরস্কারের নাম ‘মহানায়ক’। কোনওবার দেব মহানায়ক হন তো কোনওবার সোহম।
দেব যেবার মহানায়ক পুরস্কার পেলেন, খুব হাসাহাসি হয়েছিল। দেবের উচ্চারণ নিয়ে অনেকেই কটাক্ষ করেন। তাঁর অভিনয় প্রতিভা যে খুব উঁচুদরের, এমন সার্টিফিকেট এখনও পর্যন্ত কোনও সমালোচক দেননি। তারপরেও দেবকে কীভাবে ‘মহানায়ক’ ঘোষণা করল সরকার? এমন প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। কেউ কেউ তো বলে বসেন, দেব শাসক দলের সাংসদ বলেই পুরস্কার জুটেছে।
সমালোচকরা তো কত কিছু বলেন, তাতে কান দিতে নেই। কিন্তু অভিযোগ, যখনই মহানায়ক পুরস্কারের জন্য বাছা হয়েছে, পেয়েছেন কোনও না কোনও শাসক দল ঘনিষ্ঠ অভিনেতাই। অঙ্কুশ, সায়ন্তিকা, সোহিনী, যীশু, পরমব্রত (বামমনস্ক হলেও সম্প্রতি শাসক শিবিরে তাঁকে দেখা যাচ্ছে)। তালিকা অনেক লম্বা।
কিন্তু আশ্চর্য হলেও কয়েক দশক ধরে দাপটের সঙ্গে বাংলা ইন্ড্রাস্টি কাঁপালেও জিৎ-এর ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। সমালোচকরা বলেন, প্রসেনজিতের পর তাঁর কাঁধে ভর করেই এগিয়েছে বাংলা সিনেমা। দেবের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু জিতের কথাও আলাদা করে বলতেই হয়। কিন্তু সেই জিৎ-ই কিনা মহানায়ক পুরস্কার থেকে ব্রাত্য। এখানেও অনেকে রাজনীতির অঙ্ক দেখছেন। বলছেন, রাজনীতি করেন না বলেই জিতের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি।