ফের রহস্যমৃত্যু বলিউডে, বিগ বসের স্টুডিও থেকে উদ্ধার ‘লগান’ খ্যাত শিল্প নির্দেশকের ঝুলন্ত দেহ
চার চারটি জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন। হিন্দির পাশাপাশি মারাঠি চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন চুটিয়ে

ফের রহস্যমৃত্যু বলিউডে। এবার ‘লগান’, ‘দেবদাস’ খ্যাত শিল্প নির্দেশক নীতিন দেশাই। বুধবার সকালে এনডি স্টুডিও থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানায়নি পুলিশ। যদিও প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে আত্মঘাতী হয়েছেন নীতিন। তবে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।
সকালে এনডি স্টুডিওতে (বর্তমানে এখানেই বিগ বস-এর শুটিং চলছে)যান কর্মীরা। তাঁরাই নীতিনের দেহ দেখে পুলিশকে ফোন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। রায়গড়ের এসপি সোমনাথ ঘার্জে জানিয়েছেন, ‘আজ সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় নীতিন দেশাইয়ের দেহ উদ্ধার হয়। আমরা সমস্ত দিক তদন্ত করে দেখছি। নীতিন ঘনিষ্ঠরা বলছেন, বহুদিন ধরেই অর্থ সংকটে ভুগছেন লগান খ্যাত শিল্প নির্দেশক। স্টুডিওর ভালো চলছিল না। সেখান থেকেই হয়ত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতিশ। যদিও এই দাবি নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
নীতিনের জন্ম মুম্বইতে। পুরো নাম নীতিন চন্দ্রকান্ত দেশাই। সহকারী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। ‘১৯৪২: এ লাভ স্টোরি’ হিট হওয়ার পর প্রথম প্রচারের আলোয় আসেন। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি বলিউডের প্রখ্যাত শিল্প নির্দেশককে। ‘হাম দিল দে চুকে সনাম’। ‘লগান’, ‘দেবদাস’, ‘যোধা আকবর’, ‘সালাম বম্বে’-র মতো একাধিক সুপারহিট সিনেমায় কাজ করেছেন।
চার চারটি জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন নীতিন। সেগুলি হল ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর (১৯৯৯), হাম দিল দে চুকে সনম (২০০০), লগান (২০০২) এবং দেবদাস (২০০৩)। চলচ্চিত্র পরিচালনার কাজেও হাত পাকিয়েছিলেন। ২০১২ সালে ‘অজিন্তা’ সিনেমা পরিচালনা করেন। কিন্তু সেই ছবি সাফল্যের মুখ দেখেনি। প্রশংসা জোটেনি সমালোচক মহলেও। সেই শুরু এবং শেষ। নীতিনও পরিচালনার কাজ থেকে সরে আসেন। একটি ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন নীতিন।
হিন্দির পাশাপাশি মারাঠি ছবিতেও কাজ করেছেন চুটিয়ে। ২০০৮ সালে ‘রাজা ছত্রপতি শিবাজি’ এবং ২০১৮-তে ‘ট্রাকভর স্বপ্না’ সিনেমার প্রযোজক ছিলেন। কিন্তু সেগুলোও তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। সঞ্জয় দত্ত, অর্জুন কাপুর অভিনীত ‘পানিপথ’-ই তাঁর শেষ ছবি। এই সিনেমার সেট ডিজাইনার ছিলেন তিনি। তারপর ৪ বছর তাঁকে বড় পর্দায় সেভাবে দেখা যায়নি। ঘনিষ্ঠ মহলের অনেকেই তাঁর আর্থিক সংকটের কথা জানিয়েছেন। নীতিনের মৃত্যুতে বলিউডে শোকের ছায়া।