‘পুরুষের ১০টা রিলেশন ভাঙতে পারে, কিন্তু বিয়ে ভাঙলেই মেয়েটা চরিত্রহীন’, সমাজের উপর খাপ্পা মধুমিতা

প্রেম, বিয়ে, সম্পর্ক – এক উত্তাল সমুদ্র। কেউ এই সমুদ্রে তরী বইয়ে দিতে পারেন। শক্ত হাতে চালাতে পারেন হাল। কেউ হাবুডুবু খান। মাঝ সমুদ্রেই সলিলসমাধি ঘটে। তীরে আর পৌঁছনো হয় না। এসব নিয়েই খোলামেলা কথা বললেন বাংলা সিনে দুনিয়ার হার্টথ্রব মধুমিতা। ট্রোলিং নিয়েও দিলেন মোক্ষম জবাব।
মধুমিতা সফল নায়িকা। আজই মুক্তি পেয়েছে মধুমিতা, অপরাজিতা আঢ্যর ‘চিনি ২’। অসমবয়সী বন্ধুত্বের গল্প বুনেছেন পরিচালক মৈনাক ভৌমিক। অবশ্য এই মুহূর্তে কলকাতায় নেই মধুমিতা। ‘কে প্রথম কাছে ডেকেছি’-র শুটিংয়ে অরুণাচল প্রদেশে। সেখান থেকেই একটি ডিজিটাল মিডিয়াকে সাক্ষাৎকার দেন অভিনেত্রী।
‘চিনি ২’-তে মধুমিতা এবং অপরাজিতা বন্ধু। অসমবয়সী বন্ধু। কিন্তু পর্দার বাইরে মধুমিতার বেস্ট ফ্রেন্ড কে? তাঁর সব বন্ধুর অসময়সী, এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে সবচেয়ে ভালো বন্ধু মা আর দাদা। মধুমিতার কথায়, ‘বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে বয়সটা ম্যাটার করে না। আসল জিনিস হল মনের কানেকশন। বন্ধু সেই যার সঙ্গে জোর করে কিছু করার দরকার পড়ে না। কারণ ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা যায়’।
ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি কেউ কারও বন্ধু হয় না। টালিগঞ্জে কান পাতলে এমন কথাই শোনা যায়। এখানে সবাই পেশাদার। কাজের খাতিরেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভেঙেও যায়। তবে এই ইন্ডাস্ট্রিতেও বন্ধু পেয়েছেন মধুমিতা। নিজেই জানালেন তাঁর নাম, ‘সোহম মজুমদার’।
বিয়ে, সম্পর্ক, এসব নিয়ে সমাজের মানসিকতার উপর বেজায় খাপ্পা অভিনেত্রী। এ সমাজে বিয়ে ভাঙলে এখনও মেয়েকেই দোষী ধরা হয়। মধুমিতারও বিয়ে ভেঙেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনিও। মধুমিতার স্পষ্ট কথা, ‘একটা মানুষের (পড়ুন পুরুষ) ১০টা রিলেশন ভাঙতে পারে, অথচ একটা বিয়ে ভাঙলেই মেয়েটা চরিত্রহীন! তখন তাঁকে ঘিরে নানা প্রশ্ন ওঠে’।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাকটিভ মধুমিতা। প্রতিদিনই পোস্ট করেন। বিশেষ করে ইনস্টাগ্রামে। সেখানে তিনি ধরা দেন ‘হট অবতারে’। ট্রোলডও হন। তবে এসব নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামান না। তাঁর কথায়, ‘শাড়ি পরলে বলবে লোক দেখানো। আর বোল্ড পোশাক ছবি দিলে বলবে নির্লজ্জ। এসব নিয়ে তাই ভাবাই ছেড়ে দিয়েছি। এদেরকে কেয়ার করি না’।