সাধারণ জ্বর, সর্দির ভাইরাসই প্রাণঘাতী, আচমকা জমাট বেঁধে যাচ্ছে রক্ত, গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বরে ডাক্তার দেখানো তো দূরের কথা, ওষুধপত্রও খান না অনেকে।

সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বর – এত পাত্তা দেওয়ার কী আছে! দুদিন শরীর খারাপ হবে, তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে। এমনটাই ভাবেন অনেকে। ডাক্তার দেখানো তো দূরের কথা, ওষুধপত্রও খান না। কিন্তু সাবধান, সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস শুধু মারাত্মক হতে পারে তাই নয়, প্রাণঘাতী হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
বর্ষার মরশুম, শীতকাল বা সিজন চেঞ্জের সময় শরীর খারাপ খুব সাধারণ ব্যাপার। এই সময় ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি। বাচ্চা থেকে বুড়ো তো বটেই, প্রাপ্ত বয়স্করাও কাহিল হয়ে পড়েন। এই জ্বর, সর্দির পিছনে রয়েছে এক ধরণের ভাইরাস। খুবই সাধারণ, এতদিন চিকিৎসকরা তাকে খুব একটা পাত্তা দেয়নি। কিন্তু নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক খুঁজে পেয়েছেন, এই ভাইরাসের বিধ্বংসী রূপ।
গবেষকরা দেখেছেন, এই ভাইরাস রক্তে ঢুকে মারাত্মক আকার নিতে পারে। জ্বর, সর্দি, কাশি তো হবেই সঙ্গে এই ভাইরাস আচমকা রক্ত জমাট বাঁধিয়ে ফেলতে পারে। একটি বিশেষ ভাইরাসের এই শক্তি রয়েছে। ভয়ের ব্যাপার হল, মরশুমি জ্বর, সর্দি, কাশির পিছনে এই ভাইরাসের বড় ভূমিকা রয়েছে।
ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে এই ভাইরাস? বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাস রক্তে প্রবেশ করলে অ্যান্টিপ্লেটলেট ফ্যাক্টর ৪ রকমের ডিসঅর্ডারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হল, রক্তের রক্তকণিকা জমাট বাঁধতে শুরু করে। ফলে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে রোগীর মৃত্যু হয়। বিশেষ করে দুর্বল বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাঁদের কম, তাঁদের ক্ষেত্রে ভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো কঠিন।
ভাইরাসজনিত রোগ সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। তাই সিজন চেঞ্জের সময় ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি কাশি বা হাঁচির ফোঁটা বাতাসে এক মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। অন্য ব্যক্তি শ্বাস নিলে সেই ফোঁটা তার শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ছড়ায়। তাই হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা দরকার। জ্বর, সর্দিম কাশি হলে রোগীকে ফেলে না রেখে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।