প্রাঙ্ককল ভেবে বিষয়টিকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন জি বাংলার ‘ফুলকি’, তারপরে কি করে পেলেন এই সুযোগ?
জেলা থেকে উঠে আসা মেয়ে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ইচ্ছা ছিল থিয়েটার করে ধীরে ধীরে অভিনয় জগতে আসা। তার আগেই ফুলকি হিসাবে বড় সুযোগ।

শুভঙ্কর, কলকাতা: মাত্র দুমাস হয়েছে ফুলকি এসেছে জি বাংলায়। এর মধ্যেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে এই সিরিয়াল। টিআরপিতেও ঝড় তুলেছে ফুলকি টিম। ফুল কি সিরিয়াল যেমন নতুন ঠিক তেমনভাবেই নাম ভূমিকায় অভিনয় করা অভিনেত্রী ও নতুন। ফুলকির চরিত্রে অভিনয় করছেন নবাগতা দিব্যানি মন্ডল । তবে তার অভিনয় দেখে নতুন বলে মনেই হচ্ছে না। দর্শকদের মনে ধরে গেছে দিব্যানিকে। অন্যদিকে তার নায়ক হিসাবে রয়েছেন জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা অভিষেক বসু।
ফুলকি যেমন প্রত্যেকের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে ঠিক তেমনভাবেই সবার মনে প্রশ্ন জাগছে কে এই দিব্যানি। মিষ্টি প্রানঞ্চল মেয়েটি বাড়ি বা কোথায়। ফুলকি ওরফে দিব্যানি আসলে মুর্শিদাবাদ এর মেয়ে। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। ফুলকি সিনেমা ধারাবাহিকের অভিনয় করার সুযোগ দিব্যানির কাছে হঠাৎই এসেছে। তবে তিনি শুরু থেকেই অভিনয় জগতে পা বাড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা এত তাড়াতাড়ি নয়। ধীরে ধীরে প্রথাগত শিক্ষা এবং থিয়েটারের মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার করতে চেয়েছিলেন বর্তমানে গ্রাম বাংলার আদরের ফুলকি। তার আগেই ঘটে বড় পরিবর্তন। জি বাংলার মতো জনপ্রিয় চ্যানেলে ধারাবাহিক সিরিয়ালের প্রধান ভূমিকায় সুযোগ পেয়ে যান তিনি। কিন্তু এই সুযোগ টা পান কি করে? প্রশ্ন জাগছে তো? এখন সেটাই জানা যাক।
সম্প্রতি এই সময়ে ডিজিটালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কাজের সুযোগের কথা জানিয়েছেন। সেখানে দিব্যানি বলেন জানান ইন্ডাস্ট্রির মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে বাংলা সিরিয়ালের পরিচিত মুখ আয়ুষের সঙ্গে একটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন। সেই ভিডিওই পড়ে যায় জি বাংলার হাতে সেখানে থেকে তাকে সরাসরি ফোন করা হয় ফুলকি চরিত্রে অভিনয় করার জন্য। যা শুনে তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন এটা কেউ মজা করছেন তার সঙ্গে। এরপরে পরিস্থিতি যত এগোতে থাকে তখন তিনি বিশ্বাস করেন যে এটা মিথ্যে নয়, সত্যি। দিব্যনীর কথায়, “ প্রথমে বিষয়টি মানতে না চাইলেও পরে এটা কনফার্ম হয়। আমি দেখা করতে যাই। কথাবার্তা এগোয়। লুক সেট হয়, এরপর কাজ শুরু করি। এত তাড়াতাড়ি এত ভালো একটা প্ল্যাটফর্ম পাব সেটা আমি সত্যিই ভাবিনি”।