নিজের বাড়িতেও অপমানিত হতে হল শিমুলকে, আগামী পর্বের গল্প ফাঁস ‘কার কাছে কই মনের কথা’র
বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির অপমান। আবার স্বামীর সংসার ছেড়ে আসলে বাপের বাড়িতেও জোটে লাঞ্ছনা। দাদা-বৌদির কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে তাকে।

শুভঙ্কর, কলকাতা: জি বাংলার ‘কার কাছে কই মনের কথা’ সিরিয়ালটি এখন জমে উঠেছে। চলছে টানটান উত্তেজনা পর্ব। দর্শকরা জানেন শিমুলের শ্বশুরবাড়িতে প্রতিনিয়ত অত্যাচারের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এমন অবস্থায় ফাঁস হল সিরিয়ালের পরের এপিসোড। শ্বশুরবাড়িতে বারংবার অত্যাচারিত হতে হতে সহ্যয়ের বাঁধ ভেঙে যায় শিমুলের। তখন সে নিজের বাবার বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেখানে ফিরে আসার পরেও শত লাঞ্ছনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে।
সিরিয়ালে শিমুলের কাকি-শাশুড়ি এবং দুই ননদ চোখের জল ফেললেও সে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে ব্যাগপত্র গুটিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে। তবে নিজের বাড়িতে এসেও শান্তি নেই। শ্বশুরবাড়িতে নিজের সংসার ছেড়ে আসাকে মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না শিমুলের মা। এর সঙ্গে বড় দাদা এবং বৌদির চোখ রাঙানো তো আছেই। ট্রলি নিয়ে বাড়ি ঢুকতেই শিমুলকে তাঁরা সরাসরি জিজ্ঞেস করে, এত বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সে কেন এসেছে? কোন ভনিতা না করে শিমুল সরাসরি উত্তর দেয় সে আর শ্বশুর বাড়িতে থাকতে চায় না। ওই বাড়ি পাকাপাকিভাবে ছেড়ে এখন সে এখানেই থাকবে। ব্যাস তারপরেই উত্তেজনা আরও বেড়ে ওঠে। বাড়িতে শুরু হয় তুমুল অশান্তি। শিমুলের বৌদি বারংবার বলতে থাকেন সে শ্বশুরবাড়িতে মানিয়ে নিতে পারেনি বলেই এখানে চলে এসেছে। এই অপবাদ শোনার পরে সহ্য না করতে পেরে শিমুল তার মুখের ওপর বলে দেয় বৌদির মত সে নিজেকে স্বামীর হাতের মুঠোয় রাখতে পারবে না। আর শিমুল খারাপ মেয়ে বলেই বাড়ির ঠিক করে দেওয়া ছেলেকেই বিয়ে করেছে না হলে অন্য কারোর সঙ্গে বিয়ে করতো। এতদিন সব মানিয়ে মুখ বুজে সহ্য করে চলেছে এখন আর পারবে না।
অপরদিকে শিমুলের মাও বিষয়টিকে অতটা সহজ ভাবে নিতে নারাজ। তার মেয়ে সংসার ছেড়ে চলে আসায় খুশি নন তিনি। এই বিষয়টি বুঝতে পেরে শিমুল তার মাকে জিজ্ঞাসা করে তাহলে কিছু সুসাইড করত নাকি অন্য কোন জায়গায় চলে গেলেই ভালো হতো? কিন্তু সেখানেও সমস্যা। আত্মহত্যা করলে তারা কেঁদে ভাসাতো আর বলতো আগে কেন মেয়েটাকে নিয়ে আসলাম না। আর অন্য কোথাও চলে গেলে পরিবারের মান সম্মান গীবত। এরপর বড়দা আর বড় বৌদির রুদ্র মূর্তি ধারণ দেখে শিমুল বলে সে এখনও নিজের জিনিসপত্র খোলেনি। গাড়িও বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। তাই তারা যদি তাকে এই ঘরে থাকতে না দেন তাহলে সে অন্য কোথাও চলে যাবে। এ উত্তর শুনেও কটাক্ষ করে শিমুলের বৌদি। বলে আগে থেকে অন্য কোন জায়গা ঠিক করা আছে কিনা? উত্তরে শিমুল বলে, সেটা হলে সে বিয়ের আগেই সেখানে পালিয়ে যেত। তবে এবার নিজের ব্যবস্থা সে নিজেই করবে।। তবে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যান শিমুলের মা। তিনি বলেন এখন থেকে শিমুল এখানেই থাকবে। দর্শকদের মনে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তাহলে কি পাকাপাকিভাবেই স্বামী-সংসার ছেড়ে দিল শিমুল? এখান থেকে কি গল্পে অন্যদিকে মোড় নেবে? প্রশ্ন থাকছে।