বাড়িতে পোষ্য আনতে দিচ্ছে না, এই আটটি কারণ বোঝান ওর মতো ‘বন্ধু’ মেলা ভার
বর্তমানে অনেক মনোবিদো পরামর্শ দেন বাড়িতে পোষ্য রাখার জন্য। মানসিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বিশ্বজুড়ে চাহিদা বাড়ছে থেরাপি ডগদের।

শুভঙ্কর, কলকাতা: সারাদিন অফিসের ধকল, কোন ব্যক্তিগত কারণে চিন্তা। দিনটা একদম ভাল না যাওয়ায় মাথা গরম হয়ে রয়েছে, বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তেনাদের ছটফট উপস্থিতি মন ভালো করে দেয় অনেকের। কথা হচ্ছে বাড়ির পোষ্যদের নিয়ে। যাদের বাড়িতে বিভিন্ন পোষ্য আছে তারা জানেন এরা কতটা সাহায্য করে বাড়ির মালিককে। তবে অন্যান্যদের তুলনায় পোষ্য হিসাবে কুকুর অনেকটাই এগিয়ে। সাধারণত বাড়িতে বিড়াল এবং কুকুর পোষা হয়। সেক্ষেত্রে বিড়াল একটু স্বাধীন স্বভাবের একা থাকতে পছন্দ করে অন্যদিকে কুকুর তা নয়। মালিকের জন্য সদাই প্রস্তুত সে। বর্তমানে অনেক মনোবিদও পরামর্শ দেন বাড়িতে পোষ্য রাখার জন্য। মানসিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বিশ্বজুড়ে চাহিদা বাড়ছে থেরাপি ডগদের। এই প্রতিবেদনে কুকুরকে ঘরে রাখলে কতটা সুবিধা হয় তার আট কারন দেখে নিন
বিভিন্ন প্রজাতির কুকুর হয়। তাদের প্রত্যেকের স্বভাবও ভিন্ন। রোডেশিয়ান সাধারণত খুবই ছটফটে হয় তার পিছনে সময় দিতে দিতে দিন কখন কাটবে ধরা যাবে না। অন্যদিকে পাগ প্রজাতির কুকুর খুবই শান্ত হয় বসে দিন কাটানোর জন্য তার জুড়ি মেলা ভার। অন্যদিকে ল্যাব্রেডরও একটু অলস প্রকৃতির কুকুর। গোল্ডেন রিট্রিভার স্বভাবে ছটফটে, চনমনে। তাই নিজের পছন্দের মত প্রজাতির সারমেয় এনে তার সঙ্গে আনন্দে দিন কাটাতে পারেন।
সারা সপ্তাহ খুব চাপের মধ্যে গেছে। একটাই ছুটির দিন। ভাবছেন বাইরে যাবেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে যাওয়া হচ্ছে না। সেই সময় ঘরে একটি প্রিয় পোষ্য থাকলে আর বাইরেই বেরোতে হবে না। খুশির মেজাজে কেটে যাবে সপ্তাহের শেষ দিন।
দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আর ফেরার পরেই ঘরের থাকা সারমেটি ঝাঁপিয়ে আসবে আপনার কোলে। কুকুর কিন্তু সবার আগে মানুষের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার আভাস পায়। আর সেই মতোই নিজের মালিককে খুশি রাখার চেষ্টা করে।
বাড়ির কাজ হোক বা ঘুরতে যাওয়া সবকিছুতেই আগেভাগে লাফিয়ে পড়তে দেখবেন এই দুষ্টু ছানাদের। ওদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীরেও বেশ কিছুটা ব্যায়াম হয় বৈকি।
যাদের বাড়িতে কুকুর আছে তারা জানেন এই প্রশ্নটি সারাদিনে কত কাণ্ড করে। তার বিভিন্ন কান্ড দেখে হেসে লুটোপুটি খেতে হয় মাঝে মাঝে। আর হাসা যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো তা তো আপনি জানেনই। বাড়িতে কুকুর থাকা মানেই সারাদিন হাসিমজা
কুকুরের আরও একটা বিশেষ গুণ আছে। কুকুর খুব মনোযোগী। যে কাজটিই করে না কেন খুব মন দিয়েই করে। আপনার প্রতি ভালোবাসার প্রকাশের ক্ষেত্রেও তার মনোযোগ দেখার মত। আপনিও ওর থেকে শিখে নিতে পারেন।
এখন অনেক হসপিটাল বা ডাক্তারের চেম্বারে কুকুর রাখা হয় ইমোশনাল সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। পোশাকি নাম, থেরাপি ডগ। আপনার মনের অসুখকে মুহূর্তে ‘সুখ’-এ বদলে দিতে এদের জুড়ি মেলা ভার।
কুকুর এমন এক প্রাণী যে নিঃস্বার্থভাবে আপনাকে ভালবেসে যাবে। বর্তমান সময়ে খাঁটি ভালোবাসার আকাল রয়েছে সব দিকেই। অনেকেই আপনাকে ধোকা দিলে কুকুর কোনদিন ছেড়ে যাবে না। আপনার শরীর খারাপ এসেও কাঁদবে। তাই বন্ধু হিসেবে কুকুরের জুড়ি মেলা ভার।