মিলন হল এতদিনে…রঞ্জনা-নীলাঞ্জনা-ঝিন্টি মিলেমিশে একাকার, মঞ্চে একসঙ্গে নচিকেতা-অঞ্জন-শিলাজিৎ

একসঙ্গে গাইলেন নচিকেতা-অঞ্জন-শিলাজিৎ। রঞ্জনা, নীলাঞ্জনা আর ঝিন্টিরা মিলেমিশে একাকার। গানের তালে দুলে উঠলেন শ্রোতারা। নয়ের দশকের পুরনো প্রেমে হাবুডুবু খেল গোটা কলকাতা।

শেষ কবে কলকাতা এমন ‘জিয়া-নস্টালে’ ভেসে গিয়েছিল? নিজেই জানে না তিলোত্তমা।

২ সেপ্টেম্বর শনিবার। সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি। পথঘাট জলে থইথই। সুরের ঝর্নায় নজরুল মঞ্চেরও একই অবস্থা। একেবারে থইথই ব্যাপার। মঞ্চে একসঙ্গে নচিকেতা চক্রবর্তী, অঞ্জন দত্ত, শিলাজিৎ মজুমদার। জীবনমুখী গানের তিন স্তম্ভ। সঙ্গীতপ্রেমীরা আত্মহারা। মিলন হল এতদিনে…

শনিবারের বারবেলায় কলকাতার নজরুল মঞ্চে হয়ে গেল ত্রিমূর্তি চ্যাপ্টার ১। একসঙ্গে গাইলেন নচিকেতা-অঞ্জন-শিলাজিৎ। রঞ্জনা, নীলাঞ্জনা আর ঝিন্টিরা মিলেমিশে একাকার। গানের তালে দুলে উঠলেন শ্রোতারা। নয়ের দশকের পুরনো প্রেমে হাবুডুবু খেল গোটা কলকাতা।

Nachiketa Chakrabarty,Anjan Dutta,Shilajit Majumdar,Kolkata

এদিন অঞ্জন ঝুলি থেকে বের করেন ‘বেলা বোস’, ‘আলি বাবা’ এবং ‘আর একটি নাম’। নচিকেতা শোনান ‘তুমি আসবে বলে’ এবং ‘নীলাঞ্জনা’। শিলাজিৎ মাতিয়ে দেন ‘যা পাখি’, ‘সর্বনাশ’-এর মতো গানে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই নচিকেতার জন্মদিন পালন। কেক কাটা হল মঞ্চেই। নচিকেতার মুখে বেশ করে কেক মাখিয়ে দিলেন শিলাজিৎ। সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে রাখলেন দর্শকরাও। তারপরেই নচিকেতা ধরলেন নীলাঞ্জনা। গলা মেলালেন শিলাজিৎ, অঞ্জন। জ্বলে উঠল দর্শকদের ফোনের টর্চ।

যাঁদের শো সকলে আলাদা আলাদা দেখেছে, তাঁরা একসঙ্গে। বিরল মুহূর্ত। বিরল অভিজ্ঞতা। আলাদা মাধুর্য, আলাদা সৌন্দর্য। ভরপুর ছিল। কমতি ছিল না সুরে, উৎসাহে। তবে অনেকেই বলছেন, ‘ইস, যদি কবীর সুমনও থাকতেন…মিস করছি’।




Leave a Reply

Back to top button