আজও শ্রুতির প্রেরণা ঐন্দ্রিলা, না থেকেও পথ দেখাচ্ছেন তিনি

ঐন্দ্রিলার এই জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ের পাশে ছিলেন তার প্রেমিক সভ্যসাচী। ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর জুটি সকল প্রেমিক-প্রেমিকার উদাহরণ। তবে ঐন্দ্রিলা শুধু সাধারণ মানুষের জীবনেই নয় অভিনেত্রী শ্রুতি দাসেরও অনুপ্রেরণা।

শুভঙ্কর, কলকাতা: ছোট পর্দার ধারাবাহিকে অতি পরিচিত এবং লড়াকু যোদ্ধা হিসেবে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তিনি এমনই একজন অভিনেত্রী যাকে দেখে কষ্টের মধ্যেও কিভাবে হাসতে হয় শেখা যায়। তিনি জীবন যুদ্ধে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হেরে যান। ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর থেমে গেছিল তার লড়াই। মারণ রোগ তার শরীরে বাসা বেঁধে জীবন যুদ্ধে তাকে হারিয়ে দেয়। তবে তার সাবলীল অভিনয় প্রত্যেকটা বাঙালির দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। ঐন্দ্রিলার এই জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ের পাশে ছিলেন তার প্রেমিক সভ্যসাচী। ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর জুটি সকল প্রেমিক-প্রেমিকার উদাহরণ। তবে ঐন্দ্রিলা শুধু সাধারণ মানুষের জীবনেই নয় অভিনেত্রী শ্রুতি দাসেরও অনুপ্রেরণা।

সম্প্রীতি শ্রুতি ফেসবুক স্টোরিতে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে তার একটা ছবি পোস্ট করেন। শুধু পোস্টই করেনি তার ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ আমি যখন বারবার মনে করি আমি হেরে যাচ্ছি তখন একজন মানুষকে দেখেই আমার মনে হয় কিভাবে ফিরে আসতে হয়।’ সত্যি কথা বলতে গেলে ঐন্দ্রিলা সবাইকে শিখিয়েছেন কিভাবে বাঁচার লড়াই করতে হয়। তিনিও হয়তো ভেবেছিলেন এই লড়াইয়ে তিনি জিতবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার সেই লড়াই মাঝ পথেই থেমে যায়। কিভাবে ঐন্দ্রিলা শ্রুতির অনুপ্রেরণা হলো সেটা এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ‘ আমার আর ঐন্দ্রিলা ছবিটা ফেসবুকে মেমোরিতে এসেছিল। তাই আমি ছবিটা পোস্ট করি। সত্যি ওকে দেখি আর ভাবি ওর কষ্টের কাছে আমার কষ্ট কিছুই না। যখন আমার কঠিন পরিস্থিতির সময় আসে তখন ওর কথা মনে পড়ে। কারণ ঐন্দ্রিলাই শিখিয়েছে কিভাবে কষ্টের মধ্যে হাসা যায়।’

Shruti Das,Aindrila Sharma,Sabyasachi Chowdhury,Tollywood

বর্তমানে শ্রুতি বাংলার ঘরে পরিচিত ‘রাঙা বউ’ হিসেবে। রাঙা বউ ওরফে শ্রুতির জীবনেও রয়েছে অনেক কঠিন পরিস্থিতি।তিনি ঐন্দ্রিলার কঠিন পরিস্থিতি সম্পর্কে আরো বলেন, ‘ ঐন্দ্রিলা আজ আমার মধ্যে না থাকলেও কোথাও গিয়ে যেন সে আমাদের কাছে আছে। তার মা-বাবা দিদির হাতে মরোনত্তর সম্মান তুলে দেওয়া হয়েছে। আর এই সম্মান পেতে অনেকটাই দম লাগে।’ অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের কেরিয়ার জীবন মাত্র পাঁচ বছরের। এই পাঁচ বছরেই অনেক উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে তিনি সাফল্য অর্জন করেছেন। এমনকি অনেক সময় তার গায়ের রং নিয়ে তাকে খোটাও দেওয়াও হয়েছে। তবে সবকিছুকে পেছনে ফেলেই তিনি অল্প বয়সের সেরা অভিনেত্রীর তকমা পেয়েছেন।

 




Leave a Reply

Back to top button