পর্ণা-সৃজনের ডিভোর্স! ঈশাকে জব্দ করতে কি করল পর্ণা

শুভঙ্কর, কলকাতা: বাংলা বিনোদন জগতে বেশ জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’। শুরু হওয়া থেকেই এই সিরিয়ালটি দর্শকদের মনে বেশ জায়গা করে নিয়েছে। শুরু থেকেই এই সিরিয়ালে ছিল শাশুড়ি বৌমার কলহ। যা দেখে বেশ মজায় পাচ্ছিল দর্শকেরা। কখনও পিছিয়ে বা থেমে থাকেনি বৌমা। প্রতি মুহূর্তেই এই গল্পে কোনও না কোনও টুইস্ট দেখানো হচ্ছে। আর এই কারণেই দর্শকদেল সবসময়ই এই সিরিয়ালে প্রতি একটু আলাদা রকম আকর্ষণে থাকে। তবে এখন সিরিয়ালের গল্পের মোড় যে দিকে নেওয়া হয়েছে তা দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ দর্শকেরা। এখন দেখানো হচ্ছে সৃজন ও পর্ণার মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি ঈশার জোর করে ঢোকা। সেই মেয়েকে সাহায্য করছে পর্ণার শাশুড়ি কৃষ্ণা। ঈশা হচ্ছেন পর্ণার কলেজের সহপাঠী। যদিও সহপাঠী হলেও তারা একে অপরের বন্ধু নয়, বরঞ্চ শত্রু।

সিরিয়ালে পর্ণা ও সৃজনের চলছে রাগ-অভিমানের পালা। পর্ণা সৃজনকে লুকিয়ে ব্যবসা শুরু করে। আর এই কথা জানাজানি হতে সৃজন প্রচন্ডভাবেই রেগে যায় পর্ণার উপরে। সৃজন সবসময়ই তার মা’র কথাই বেশি গুরুত্ব দেয়। তাই এবারও সবকিছু জানাজানি হয় তখনও সেই মায়ের সুরে সুর মেলায়। আর প্রেরণার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। কিন্তু পর্ণা একটাই কথা বলে,‘আমি হয়তো তোমাকে লুকিয়ে ব্যবসাটা শুরু করেছি। কিন্তু আমি তোমার ক্ষতি বা খারাপ চাইনি।’ তবে এখন পর্ণা সৃজনের মধ্যে ঝামেলা এমন জায়গায় পৌঁছেছে সৃজন পর্ণাকে ডিভোর্স দিতে চায়। তবে পর্ণাও ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নয়।

পর্নার মাথায় এখন ঘুরছে দুষ্টু বুদ্ধি। তবে পর্ণাকে সাপোর্ট করার জন্য তার ঠাম্মিসহ পরিবারের সকলেই আছেন। এখন কৃষ্ণা ঈশাকে দিয়েই সৃজনের সবকিছু কাজ করাচ্ছে। কিন্তু শিঙি মাছ কাটার সময় তখন সে পর্ণাকে বলে। পর্নাও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে সে এখন কিছুই করতে পারবে না। কিন্তু পর্ণার শাশুড়ি তাকে প্যাঁচে ফেলতে চাইলে সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় এই বাড়িতে দু’দিনের অতিথি। তাই সবাইকে সবার নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে। আর এই কথা শুনে কৃষ্ণা একপ্রকার হুকুম দিয়ে ঈশাকে মাছ কাটতে বলে। যা দেখে আবারও খুশি হয়েছে দর্শকেরা। এরপর আর কি কি হবে তা দেখতে হলে অবশ্যই নজর রাখতে হবে জি বাংলার ‘নিম ফুলের মধু’ সিরিয়ালে।