একা হাতির পথ ‘অবরোধ’, অবশ্য পর্যটকরা তাকে দেখতে পেয়ে খুশি
তবে একা একা হাতির রাস্তায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়াটা আশ্চর্যজনক বৈকি। এমনই ঘটনা ঘটলো ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে। গরুমারা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গেছে এই রাস্তা। সেখানেই ঘটল এমন কান্ড।

শুভঙ্কর, উত্তরবঙ্গ: ‘হাতি মেরে সাথী’ সিনেমাটা মনে আছে নিশ্চয়। মালিকের খোঁজে রাস্তায় রাস্তায় দৌড়েছিল প্রিয় হাতিটি। রাস্তায় বসেও পড়েছিল সে। সিনেমার মতো বাস্তব জীবনে হাতির বেশ কিছু মানব প্রেমের নিদর্শন পাওয়া যায়। তবে একা হাতির পথ অবরোধ খুব একটা দেখা যায় না। হাতিরা দল বেঁধে যখন রাস্তা পারাপার করে সেই সময় রাস্তায় যান চলাচল প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে যায়। উত্তরবঙ্গ এবং যেখানে হাতি বেশি দেখা যায় সেখানকার মানুষদের কাছে এই ঘটনা খুব একটা উদ্বেগ জনক নয়। তবে একা একা হাতির রাস্তায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়াটা আশ্চর্যজনক বৈকি। এমনই ঘটনা ঘটলো ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে। গরুমারা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গেছে এই রাস্তা। সেখানেই ঘটল এমন কান্ড।
দীর্ঘ তিন মাস পর্যটকদের জন্য ডুয়ার্সের বিভিন্ন জঙ্গলের দরজা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি তা খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন ডুয়ার্সের পর্যটকদের ভিড় রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। এইবার পর্যটকদের পকেটের খরচা একটু বেড়ে গেলেও ডুয়াস ঘুরতে দ্বিধা করছেন না তারা। এমন সময়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি প্রায় ১৫ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে পড়ে।
দুপুর প্রায় পৌনে তিনটি নাগাদ দাঁতাল হাতিটি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে পড়ে। রাস্তার দুই ধারে গাড়ির ভিড় জমে যায়। তবে এতে বিরক্ত হননি গাড়ির মালিকরা। বরং গজরাজ এক প্রকার খুশি করেছে তাদেরকে। অনেক পর্যটক গাড়ি থেকে নেমে হাতির ছবিও তোলেন। পর্যটকদের এই খুশি হওয়ার অবশ্য অন্য কারণ রয়েছে। বন্য পশু দেখা সাধারণত ভাগ্যের ব্যাপার। সব সময় তারা মানুষকে দেখা দিতে নারাজ। সেক্ষেত্রে একদম কোনও রকম আশা ছাড়াই হাতিকে দেখতে পেয়ে খুশি পথে আটকে পড়া পর্যটকরা। হাতিটিকে রাস্তার ওপর থেকে সড়াতে অবশ্য কোন কাঠ-খড় পোড়াতে হয়নি বন দপ্তরকে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর নিজে থেকেই রাস্তার উপর থেকে সরে যায় সে।