‘চা-ওয়ালি’ হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী

চা বাগানের শ্রমিকরা ঠিক যেভাবে মাথা দিয়ে পিঠের দিকে ঝুড়ি ঝুলিয়ে চা তোলেন, সেইভাবে চা পাতা তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু চা পাতা তোলাই শেষ নয়। এর পাশাপাশি এখানকার শ্রমিকদের সঙ্গে কথাও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) যখন কোথাও জনসংযোগে যান, সেখানকার স্থানীয় মানুষের সঙ্গে একেবারে মিশে যান। কখনও পাহাড়ে গিয়ে তাঁকে দেখা যায় চা বানাতে, কখনও আবার মোমো বানাতে গিয়ে ধরা দেন তিনি। এভাবেই সকলের সঙ্গে মিশে যান।

তবে এবার একটু অন্য ধাঁচের ‘জনসংযোগ’ সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাইপোর বিয়ের জন্য পারি দিয়েছেন পাহাড়ে। সেই ফাঁকেই বৃহস্পতিবার সকালে বেরিয়ে পড়লেন চা বাগানে। সেখানে ওয়ার্কারদের মতো জামা চাপিয়ে, মাথায় কাপড় ও ঝুড়ি নিয়ে পাহাড়ি আঁকাবাঁকা চা বাগানে চা তুলতে দেখা যায় তাঁকে। পাহাড়ি চা বাগান ভীষণ খাড়া। অনেকসময় পা পিছলে পরে যাওয়ার ভয় থাকে। নিজেকে কোনওরকমে সামলে চা পাতা তুলতে দেখা যায় তাঁকে। সঙ্গে সেরে নিলেন জনসংযোগও। মহিলাদের সঙ্গে চা পাতা তুলে নিজেকে ‘তাঁদের’ মতো করেই তুলে ধরলেন ‘ম্যাডাম চিফ মিনিস্টার’।

কিছুক্ষণ ওভাবে পাতা তোলার পর আবার এক মহিলাকে তাঁকে কিছুটা হাত ধরে সামাল দিতেও দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই মনে হচ্ছিল, তিনি সামলাতে পারছিলেন না নিজেকে সেই পাহাড়ি বাগানে। এদিন মকাইবাড়ি চা বাগানে নিজের আন্দাজেই সকলের সঙ্গে মিশে গেলেন তিনি।

চা বাগানের শ্রমিকরা ঠিক যেভাবে মাথা দিয়ে পিঠের দিকে ঝুড়ি ঝুলিয়ে চা তোলেন, সেইভাবে চা পাতা তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু চা পাতা তোলাই শেষ নয়। এর পাশাপাশি এখানকার শ্রমিকদের সঙ্গে কথাও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তিনি বলেন, ‘পাহাড় এবং সমতলের মধ্যে ঐক্যের বাঁধন তৈরি হয়েছে। আমি মনে করি সকলে একসঙ্গে আমরা কাজ করব। আমি কিন্তু মুখে বলি না। আমি রক্তের সম্পর্ক দিয়ে করে দেখাই। আমি খুব খুশি আজ।’ চায়ের গ্লাসে চুমুক দিয়ে বলেন, ‘চা বাগান ভাল থাকুক, চা শ্রমিকরা ভাল থাকুক।’

এদিকে, মমতাকে সামনে পেয়ে চা বাগানের শ্রমিকরা সাদরি ভাষায় গানও গান সবুজে ঘেরা চা বাগানের মাঝে দাঁড়িয়ে। সেখানেও তাল মেলাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।




Leave a Reply

Back to top button