পিরিয়ডসে থাকা মেয়েদের উপর পুষ্পবৃষ্টি, কেক-মিষ্টি-ফুলের তোড়া উপহার যুবকের, ভিডিও ঘিরে বিতর্ক
পিরিয়ডস বা ঋতুস্রাব নিয়ে এদেশে গোঁড়ামির শেষ নেই। একটা ‘চুপ চুপ’ ব্যাপার। বড়দের সামনে এই নিয়ে কথা বলা যাবে না। অংশ নেওয়া যাবে না কোনও শুভ কাজে।

পিরিয়ডস বা ঋতুস্রাব নিয়ে এদেশে গোঁড়ামির শেষ নেই। একটা ‘চুপ চুপ’ ব্যাপার। বড়দের সামনে এই নিয়ে কথা বলা যাবে না। অংশ নেওয়া যাবে না কোনও শুভ কাজে। অথচ এটা নারীদের খুব সাধারণ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। পিরিয়ডসের কটা দিনের যন্ত্রণা নিয়েও দাঁতে দাঁত চেপে সমস্ত কাজ করে যায় মেয়েরা। সামলায় ঘর গেরস্থালী। অথচ মুখ ফুটে এই নিয়ে বলা বারণ।
এই সিস্টেমের বিরুদ্ধেই একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করলেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার সিধেশ লোকার। ঋতুমতী মেয়েদের সঙ্গে নাচলেন, গাইলেন। তাঁদের সম্মানে করা হল পুষ্পবৃষ্টিও। দেন উপহারও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। দেখা যাচ্ছে, কোনও শপিং মলের বাইরে চেয়ার পাতা। তাতে সাদা কাগজে লেখা, ‘যদি আপনি পিরিয়ডসে থাকেন, তাহলে এখানে বসুন’। সিধেশের ডাকে সাড়া দিয়ে অনেকেই সেই চেয়ারে বসেন। তারপর শুরু হয় ‘স্পেশাল ট্রিটমেন্ট’।
কী সেই বিশেষ আয়োজন? পিরিয়ডসে থাকা প্রত্যেক মহিলার উপর পুষ্পবৃষ্টি করেন সিধেশ। তারপর শুরু হয় নাচ, গান। তবে শুধু নাচ, গানেই আয়োজনের শেষ নয়। ঋতুমতী মহিলাদের মিষ্টি, কেক, ফুলের তোড়া উপহারও দেন তিনি। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই পোস্ট করেছেন সিধেশ। তাঁর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। অনেকে আবার তাকিয়েছেন বাঁকা চোখে। ছুঁড়ে দিয়েছেন কটাক্ষ।
সিধেশের কথায়, ‘ঋতুস্রাব এমন একটা প্রক্রিয়া যা শুধু মেয়েরাই অনুভব করে। যন্ত্রণা সহ্য করে হাসিমুখে। কিন্তু তারপরও মুখ বুজে সমস্ত কাজ করে। সব বাধা অতিক্রম করে মেয়েদের এই এগিয়ে যাওয়াটাই প্রমাণ করে তারা আসলে কতটা শক্তিশালী’। তাঁর বিশ্বাস, এই যন্ত্রণা যারা হাসিমুখে সহ্য করতে পারে, কোনও যন্ত্রণাই আর তাদেরকে টলাতে পারে না।
সিধেশের পোস্ট করা ভিডিও ইতিমধ্যে ৯২ লক্ষ মানুষ দেখেছেন। কমেন্ট এসেছে হাজার হাজার। একজন লিখেছেন, ‘আমি মেয়ে হয়ে বলছি, এটা দারুণ উদ্যোগ। জনগণকে এই নিয়ে আরও সচেতন হতে হবে। তার জন্য চাই শিক্ষা। ঋতুস্রাবের সময় মেয়েদের মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্ব সবার’।