‘জলের সোনা’ কোটি টাকা দামে বিক্রি হয়, দেখেছেন নাকি?
বিশ্বের নামি নামি সুগন্ধি প্রস্তুতকারক সংস্থা রা উচ্চ দামে কিনে নেয়। ওষুধ প্রস্তুত করতেও এই পদার্থের ব্যবহআর করা হয়।

শুভঙ্কর, কলকাতা: বিশেষ প্রজাতির তিমি মাছ। তার করা বমি থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন সুগন্ধি। এমনকি ঔষধ পর্যন্ত। কিছু বুঝতে পারছেন কিসের কথা বলা হচ্ছে? হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, অ্যাম্বারগ্রিস। তিমি মাছ খাবার খেয়ে হজম করতে পারে না এই রকমের খাদ্য খুব কমই আছে জলে। তবে সেফালোপড জাতীয় প্রাণীকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে স্পাম প্রজাতির বিশেষ ধরনের তিমি মাছ তা হজম করতে পারে না। স্বাভাবিকভাবেই তা বমি হিসাবে বেরিয়ে আসে। সেই বমিই অ্যাম্বারগ্রিস নামে পরিচিত।
এই পদার্থটি তিমি মাছের বমি হলেও সেটা তরল নয় কঠিন পদার্থ। রং সাধারণত কালো বা ধূসর হয়ে থাকে। তাহলে মনে প্রশ্ন জাগছে বমি আবার কঠিন কি করে হয়? আসল বিষয়টি হচ্ছে বমি হয় বমির মতনই। পরে সেটা কঠিন পদার্থের পরিণত হয়। স্পাম তিমি এমন একটি প্রজাতি যাদের যৌন শক্তি অন্যান্য প্রজাতি তিমি মাছের থেকে তাড়াতাড়ি আসে। ৭ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে এই তিমি মাছ গুলোর যৌন ক্ষমতা চলে আসে। তবে মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ বিকাশে আরও কিছুটা সময় লাগে। সাধারণত 60 থেকে 65 বছর পর্যন্ত এই তিমি মাছ বেঁচে থাকতে পারে। এই তিমি মাছের অন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসা হজম না হওয়া খাদ্য মানুষের জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের নামি নামি সুগন্ধি প্রস্তুতকারক সংস্থারা উচ্চ দামে কিনে নেয় এই এম্বারগ্ৰিস।
ওষুধ প্রস্তুত করতেও এই পদার্থের ব্যবহার করা হয়। মানুষের যৌন চিকিৎসার কাজেও ব্যবহৃত হয়। এই কারণে ব্যবসায়ী এবং বিজ্ঞানী মহল এই পদার্থটিকে ভাসমান সোনা হিসেবে পরিগণিত করেন। বিজ্ঞানীদের মতে স্পার্ম তিমি মাছের এই বমিতেতে অনেক পরিমাণে অ্যালকোহল থাকে। তবে এর প্রাথমিক গন্ধ মলের মত বলে জানা যায়। জলে থাকা অবস্থায় এই বমি ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে অ্যাম্বারগ্রিস পদার্থের পরিণত হয়।