মহিলা ও পুরুষ কণ্ঠ একজনেরই, দাদাগিরির মঞ্চে ভাইরাল হওয়া যুবক
সম্প্রতি দাদাগিরি সিজন টেন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সমাপন। এখানেই তার কীর্তিকলাপ বাংলার দর্শকদের সামনে উঠে এসেছে। এছাড়া যারা রেডিও শোনেন বা বিভিন্ন গল্পের অনুষ্ঠানগুলো নিয়মিত শোনেন তারা সমাপনের গলা অনেক আগেই শুনেছেন।

কলকাতা: এক ফেরিওয়ালা ভ্যানে করে বাসনপত্র, গামলা সহ ঘরোয়া জিনিস বিক্রি করছেন। ভ্যানে রাখা বক্সে বাজছে সেল! সেল! হরেক মাল ১০ টাকা। প্লাস্টিকের হাতা ১০ টাকা, অ্যালুমিনিয়ামের বাটি মাত্র ১০ টাকা। হরেক মাল দশ টাকা। মেয়ে এবং ছেলে উভয়ের গলাতে এই বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এই দুটো গলার পিছনেই রয়েছে এক যুবকের ভূমিকা। একই গলাতে ভিন্ন সুর। কন্ঠের পিছনে রয়েছেন সমাপন মিশ্র। একজন ভয়েস ওভার আর্টিস্ট।
সম্প্রতি দাদাগিরি সিজন টেন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সমাপন। এখানেই তার কীর্তিকলাপ বাংলার দর্শকদের সামনে উঠে এসেছে। এছাড়া যারা রেডিও শোনেন বা বিভিন্ন গল্পের অনুষ্ঠানগুলো নিয়মিত শোনেন তারা সমাপনের গলা অনেক আগেই শুনেছেন। কখনো মহিলা চরিত্রে বা কখনো বাচ্চা চরিত্রে কিংবা পুরুষ চরিত্রে তার গলা শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিশরপাড়ার বাসিন্দা সমাপন। ছেলেবেলা থেকে মায়ের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের পাঠ নেওয়া শুরু। এছাড়া তখন থেকেই বিভিন্ন কন্ঠ করা তার অভ্যাস। রেডিওর সঞ্চালক হওয়া তার ইচ্ছে। সেই লক্ষ্যে অনেকটা পা বাড়িয়েছে তিনি। আকাশবাণী সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। রেডিওর মহিলা সঞ্চালকদের গলা এবং তাদের অনুষ্ঠান করার ধরনের নকল করতে পারেন সমাপন। সেই ঝলকই দেখা গিয়েছে দাদাগিরির মঞ্চে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাকে জিজ্ঞাসা করেন এই বিভিন্ন ধরনের কণ্ঠস্বর তার সহজাত কিনা। উত্তরে সমাপন জানান, “ অনেকটা সহজাত বটে। ছোটবেলা থেকেই আমি এইগুলো করতাম। নিজের সঙ্গে কথা বলতে বলতে এইগুলো হয়ে যেত আলাদা করে কিছু করতাম না। রেকর্ড করে ভাই বোনদের শোনাতাম। বাড়ির লোকেরা বিভিন্ন সময় আমাকে বলতো বিশিষ্টজনদের গলা নকল করতে।” রেডিওর মহিলা পরিচালকরা কিভাবে একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তাও মহিলা কন্ঠে দেখান সমাপন। এছাড়াও জানান পেশা হিসাবে তিনি একজন রেডিও সঞ্চালক হতে চান এবং সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছেন।