দীপাবলিতে বড় চমক ধারাবাহিক প্রেমীদের জন্য,মনোহরা পরিবারকে নিয়ে ফিরছে মিঠাই, জেনে নিন দিনক্ষণ!
ছোটপর্দায় ফিরছে মিঠাই ও উচ্ছেবাবুর গল্প, পুনরায় সম্প্রচারিত হবে জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই

কলকাতা:শেষ হয়েও হইল না শেষ…! Zee বাংলার পর্দায় আরও একবার ফিরছে ‘মিঠাই’। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। এমনটাই ঘটতে চলেছে। ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। নাহ মিঠাই-২ নয়, পুরনো ‘মিঠাই’-ই পুনঃসম্প্রচারিত হবে বলে জানা যাচ্ছে।জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু ও আদৃত রায়। চলতি বছরের ৯ জুন শেষ হয় এই ধারাবাহিকের সম্প্রচার। কেক কেটে উদযাপিত হয় এই দিন। এর ঠিক মাস পাঁচ পর পুনরায় এই ধারাবাহিক সম্প্রচারের কথা ঘোষণা করা হয় চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে। জানানো হয়েছে আগামী সোমবার, ১৩ নভেম্বর থেকে পুনরায় সম্প্রচারিত হবে ‘মিঠাই’। শুধু তাই নয়, এই ধারাবাহিক চলবে টানা ১ ঘণ্টা। অর্থাৎ একদিন দুটো করে পর্ব একটানা দেখানো হবে। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দেখানো হবে এই ধারাবাহিক, প্রত্যেক সোমবার থেকে শনিবার।
প্রসঙ্গত, ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের পরিচালনা করেন রাজেন্দ্রপ্রসাদ দাস। মেগাতে অভিনয় করেছেন টেলিপাড়ার একঝাঁক চেনা মুখ। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়েন মুখ্য দুই চরিত্র- সিড ও মিঠাই, অর্থাৎ অভিনেতা আদৃত রায় ও সৌমিতৃষা কুণ্ডু।নানা ঝড়- ঝাপটার পর ‘হ্যাপি এন্ডিং’ হয় ধারাবাহিকের। শেষ বেলায় আবেগপ্রবণ হয় অভিনেতারা। বিদায় ঘণ্টা বাজতেই চোখে জল এসেছিল বাংলার ছোট পর্দার দর্শকদেরও। গুটি গুটি পায়ে দু’বছর পার করার পর ধারাবাহিকের ট্র্যাক অনেকটা পরিবর্তন হয়। পরপর আগমন হয়েছে একাধিক নতুন চরিত্রের। সে সঙ্গে বাদ যায় বহু পুরনো চরিত্রটা। সমরেশ, অমরেশ, লতা, অপা, অনুরাধা, স্যান্ডি, পিঙ্কি কাউকে আর দেখা যায় না মোদক পরিবারের গল্পে। এমনকী রুদ্র, দাদু, রাতুল এদেরও খুব কমই দেখা যায়। যার জেরে সেসময় বেজায় মন খারাপ হয় ‘মিঠাই’ অনুগামীদের। এমনকী অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদও করেন হঠাৎ করে এত চরিত্র একসঙ্গে কারণ ছাড়া চলে যাওয়া, এখনও মেনে নিতে পারেননি অনেকে।
সিড- মিঠাই’ জুটি এতদিন মিস করেছেন ফ্যানেরা। তবে ‘সিঠাই’-কে ফের পর্দায় দেখা যাবে, একথা নিঃসন্দেহে তাদের কাছে দারুণ আনন্দের। ধারাবাহিকে মনোহরার সদস্যদের একে অপরের সঙ্গে রসায়ন, হল্লা পার্টির মজা সবটা দেখে অনেকেরই মনে করতেন, বাস্তব জীবনেও এমন হলে ভাল হত। সব মিলিয়ে বাঙালির ‘সুখে দুখে মিষ্টি মুখে’ সত্যিই ছিল ‘মিঠাই’। তবে পুনঃসম্প্রচার কতটা সফল হয়, সেটাই এখন দেখার।