রয়েছে শুধুমাত্র পাকা বেদি, মন্দির তৈরি করলেই ভেঙ্গে পড়ে যায়, অলৌকিক ঘটনা, উত্তর দিনাজপুরের ডাকাত কালী পূজোয়

অলৌকিক ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের ডাকাত কালী পূজোয়, ৩০০ বছর ধরেই বেদীতেই চলে পুজো

এক রাতেই তৈরি করা হয় কালী মায়ের মূর্তি, সেই রাতেই পূজো করে বিসর্জনও দিয়ে দেওয়া হয়। কালী মূর্তির পুজোর জন্যে নেই কোনও মন্দির। শুধুমাত্র একটি পাকা বেদীতেই এই কালীপুজো করা হয়।প্রসঙ্গত, এলাকার প্রবীণ বাসিন্দাদের মতে, “মায়ের মূর্তি স্থাপন করার জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল কিন্তু মন্দির গড়ার সময় বারবারই মন্দিরের কিছু অংশ তৈরি করার পর সেই অংশটুকু ভেঙে পড়ে। এরপর থেকেই সেই মন্দির তৈরির চিন্তাভাবনা ছেড়ে দেন সেখানকার স্থানীয়রা। কেউ আর সাহস করে ওঠেননি সেখানে মন্দির তৈরি করার। তারপর থেকেই প্রত্যেক অমাবস্যার দিনই তৈরি হয় মায়ের মূর্তি সেইদিনই হয় পুজোও।প্রায় আড়াই ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট মায়ের মূর্তি তৈরি করে এক রাতেই পুজো সেরে মন্দিরে সামান্য দূরত্ব দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রেয়ী নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয় মায়ের।

Dakat kali Mandir,uttar Dinajpur,Diwali

উত্তর দিনাজপুরের এই পুজো ডাকাতকালীর পুজো নামে পরিচিত। এই পুজোকে গ্রামের বয়স জ্যেষ্ঠদের মধ্যে একটি ছমছমে কাহিনীর প্রচলন রয়েছে। যা কিন্তু কোনও মিথ নয়, সত্য ঘটনা। যা শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে আপনারও। রঘুনাথপুর এলাকায় এই তারা কালীপুজোকে ঘিরে করে প্রচুর জনশ্রুতি রয়েছে। কবে থেকে এই তারা মায়ের পূজো শুরু হয়েছে তার সঠিক সময় জানা না থাকলেও স্থানীয় প্রবীণ নাগরিকদের মতে এই পুজো ৩০০ বছরেরও বেশি পুরনো। এই কালী মূর্তির জন্যে কোনও মন্দির স্থাপন করা হয়নি। শুধুমাত্র রয়েছে একটি পাকা বেদি। ওই এলাকার প্রবীণ বাসিন্দাদের মতে, মায়ের মূর্তি স্থাপন করার জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল কিন্তু অবশেষে মন্দির তৈরির সময় মন্দিরের কিছু অংশ তৈরি করার পর সেই অংশটুকু একাধিকবার ভেঙ্গে পড়তো। এরপর থেকেই মন্দির তৈরি চিন্তাভাবনা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ আর সাহস পাননি সেই মন্দিরটি তৈরি করার। তারপর থেকেই অমাবশ্যার দিনেই তৈরি করা হয় মায়ের মূর্তি, পুজোও হয় সেদিন।এক রাতের মধ্যে মূর্তি তৈরি করে পুজো সেরে সেই রাতেই বিসর্জন দেওয়া হয় আত্রেয়ী নদীতে। সেই রীতিকে মান্যতা দিয়ে বৈষ্ণব মতে আজও স্থানীয় বাসিন্দারা এই তাঁরা মায়ের পুজো করে আসছে জাঁকজমকপূর্ণভাবে।

 

জানা গিয়েছে, প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসা এই কালীপুজো জঙ্গলে ঘেরা। কথিত আছে,এই জায়গায় ডাকাতরা মায়ের পুজো করার পরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বের হত। সেই পরম্পরাকেই মান্যতা দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই তারা মাকে ডাকাতকালী নামেও সম্বোধন করে থাকে। পুরনো রীতিকে মান্যতা দিয়ে প্রতি বছরই স্থানীয় বাসিন্দারা এই পুজোকে সাড়ম্বরে পালন করে আসছে। প্রসঙ্গত, এই তারা কালী পুজোকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন যাবত উৎসবে মেতে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি জানাযায়, এই তাঁরা কালীর পুজোয় শুধুমাত্র মায়ের মূর্তি একরাতে তৈরি নয়, মন্দিরের ছাউনিও তৈরি করা হয় সেই এক রাতেই। এই তাঁরা কালী পুজো বা ডাকাত কালী পুজোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বহু দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্তের আগমন হয়ে থাকে প্রতি বছরই। দীর্ঘ বহু বছর ধরে নিয়ম এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হয়ে আসছে এই তারা কালী মায়ের।




Leave a Reply

Back to top button