কন্যা সন্তান হারানোর শোক প্রতিফলিত হল কন্ঠে, সারেগামাপা জয়ী হলেন অ্যালবার্ট।
জি বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা সারেগামাপা। সেই মন সেই গান না শিখেও ফাইনালে পৌঁছেছিলেন কালিম্পঙের অ্যালবার্ট কাবো লেপচা । বিজেতা না হতে পারলেও কালিম্পঙের মানুষের কাছে থেকে পেয়েছে প্রচুর সম্মান।

জি বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা সারেগামাপা। সেই মন সেই গান না শিখেও ফাইনালে পৌঁছেছিলেন কালিম্পঙের অ্যালবার্ট কাবো লেপচা । বিজেতা না হতে পারলেও কালিম্পঙের মানুষের কাছে থেকে পেয়েছে প্রচুর সম্মান।
কিছু মাস আগেই তার এক মেয়ে মারা যায়। তিনি সেই শোকের চেয়ে থাকে বেরোতে পারছিলেন না । স্ত্রী পূজার জোর করার ফলে তিনি সারেগামাপা প্রতিযোগিতায় নাম দেন। কখনো গান না শিখলেও। ফাইনালের মঞ্চে গান গাইলেন সেরার সেরা না হলেও দর্শক প্রীতির দিক থেকে তিনি প্রথম হয়েছেন।
গানের প্রতিযোগিতার শেষে কালিম্পঙের বাড়িতে ফিরে। নিজের ঠাকুমা , মেয়ের সমাধিতে ফুল দিয়ে তাদের নিজের সাফল্যের কথা জানান তিনি। এরপরে ২৬শে নভেম্বর সম্প্রসারিত হয়েছে হিন্দি সারেগামাপা এর ফাইনাল ,সেখানে বিজেতা রূপে পাওয়া গেল কালিম্পং এই গায়ককে। তিনি এবং তার পরিবার জানিয়েছেন , কখনোই তিনি গান শেখেননি তার যে এই প্রতিভা সেটি পুরোপুরি ঈশ্বরপ্রাপ্ত । নিজের আপন জনেদের হারানো যে বেদনা তারই প্রতিফলন শোনা যায় তার কন্ঠে। নিজের গানের জাদুতে বিচারক নীতি মোহন, হিমেশ রেশমিয়া ও অনু মালিকের মন জয় করে একেবারে চ্যাম্পিয়ন হলো সে।
২৭ শে নভেম্বর বাড়িতে ফিরলেন কালিম্পঙের বিজয়ী গায়ক। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কালিম্পঙ বাসীদের উপচে পড়া ভিড় এবং লেপচার ফুল , টুপি পড়িয়ে, উত্তরীয় দিয়ে সম্বধনা জানিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তারা তাদের ঘরের ছেলেকে । সবাই আশা করছে এই ছোট পাহাড়ের মধ্যে থেকে তিনি যেমন ভাবে নিজের প্রতিভাকে পুরো দেশের কাছে তুলে ধরলেন তেমন ভাবেই আরো অনেক কালিম্পঙের ছেলে মেয়ে এই পথ অনুসরণ করবে। অ্যালবার্ট কাবো লেপচা একজন বড় উদাহরণ হয়ে উঠবে তাদের কাছে ।