মৃণাল সেন, তরুণ মজুমদারের ছবিতে না থাকার আক্ষেপ অনিলের
অনিল জানান তরুণ মজুমদার, মৃণাল সেনদের মতো কিংবদন্তি পরিচালকদের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একাধিকবার অডিশন দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই সেসময় কোনওটাই তিনি 'পাশ' করতে পারেননি।

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বসেছিল একঝাঁক তারার আসর। ফিল্ম ফেস্টিভাল শুরুর আগের দিন পৌঁছে যান অনিল কাপুর (Anil Kapoor)। তাঁর পরে, অর্থাৎ পরের দিন আসেন সলমন খান (Salman Khan)। অনুষ্ঠানে এসে বাঙালি কালচার দেখে কার্যত মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পরেন অনিল কাপুর। কলকাতার একটি বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেলে থাকলেন। সেখানে তাঁর জন্য আয়োজন করা হয় গ্র্যান্ড পার্টির। সেখানে তাঁর গুটিকয়েক বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে ছিলেন ঋতুপর্না সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। সকলে মিলে আনন্দ করেন।
এদিকে বাংলার সংস্কৃতি দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনিল কাপুর (Anil Kapoor)। কলকাতায় এসে যেন তিনি ফিরে যান চার দশক পেছনে, যখন তিনি প্রথম বার এই শহরে পা রেখেছিলেন। অনিল জানান তরুণ মজুমদার, মৃণাল সেনদের মতো কিংবদন্তি পরিচালকদের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একাধিকবার অডিশন দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই সেসময় কোনওটাই তিনি ‘পাশ’ করতে পারেননি। এনিয়ে কম আক্ষেপ দেখাননি অনিল।
অনিল কাপুরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহযোগী প্রীতিময় চক্রবর্তী এক নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন শহরের একটি বিলাসবহুল হোটেলে। বলেন, ‘আমি অনিলকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চিনি। সে তার বিশাল স্টারডম সত্ত্বেও একজন মানুষ হিসাবে অত্যন্ত ডাউন-টু-আর্থ। তিনি ভীষণ নম্র স্বভাবের। সহজেই মিশে যান।’

কিছুটা হেসে তাঁর সংযোজন, ‘সে খুব তাঁর ডায়েট সম্পর্কে সচেতন। তবে গতকাল ডায়েট তার জন্য কিছুটা পিছিয়েছিল। উপভোগ করেছিলেন। সুশি ছিল মেনুতে। থাই এবং ভারতীয় খাবারের স্বাদও নিয়েছেন।’
অনিল কাপুর ২০০৩ সালে ভারতীয় অ্যাকশন থ্রিলার ফিল্ম ক্যালকাটা মেইলের অংশ ছিলেন। সঙ্গী ছিলেন রানী মুখার্জি (Rani Mukherjee) ও মনীষা কোয়েরালা (Manisha Koirala)। পরিচালনা করেন সুধীর মিশ্র (Sudhir Mishra)। মৃণাল সেন (Mrinal Sen) ও তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumder) একরোখা ভক্ত ছিলেন। বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সেই বিষয়বস্তু কীভাবে সমৃদ্ধ হয়, সেনিয়েও বলেন তিনি।