Haunted Place- একবার গেলে আর ফেরার পথ নেই, দেশের এই ১০টি জায়গা থেকে কেউ ফিরে আসেনি

গা ছমছমে ভুতের সিনেমা(horror movie) অনেকেই দেখতে পছন্দ করেন। আবার বেড়াতে যেতে ভালোবাসেন এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। সেক্ষেত্রে এমন যদি কোন জায়গা থাকে যেখানে গেলে একই সঙ্গে ভ্রমণ ও ভুত প্রেমী(haunted travel destination) মানুষজন ভুতের দেখা পেলেও পেতে পারেন তাহলে মন্দ কী। ভারতে এমনই একাধিক ঘোরার জায়গা(haunted place) রয়েছে যেখানে এমন কিছু ঘটনা ঘটে তার ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের সাজানো যুক্তিতে পাওয়া যায় না।
ডাউহিল

পশ্চিমবঙ্গের কার্শিয়াং এর ডাউহিল নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তৈরী হয়েছে একাধিক বিতর্ক। বহু সাহসী অ্যাডভেঞ্চার(adventure) প্রিয় মানুষ বারবার ছুটে গেছেন কুয়াশাঘেরা কার্শিয়াংয়ে অশরীরীদের ছায়ার সন্ধানে। তারপরই কোন এক অজানা ভয় ঘিরে ধরেছে তাদের। কার্শিয়াং এর পর্যটকরা তো বটেই, সেখানকার বাসিন্দারাও দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভৌতিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। ডাউহিলের দুটি স্কুল ঘিরে নানা ধরনের ঘটনা ঘটে এমনই দাবি বাসিন্দাদের।
ভানগড় কেল্লা

বিশ্বের সর্বাধিক ভৌতিক স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম রাজস্থানের ভানগড় কেল্লা। এই কেল্লায় ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগও রাতে প্রবেশের অনুমতি দেয়না। তবে জেদের বশে কেউ যদি রাতে প্রবেশও করেন তবে তাকে নাকি আর খুঁজে পাওয়া যায় না। শোনা যায় কোন এক তান্ত্রিক নাকি বিয়ে করতে চেয়েছিল কেল্লার রাজকুমারীকে। তান্ত্রিকের এমন প্রস্তাব নাকচ করার পাশাপাশি প্রাণদন্ড দেওয়া হয় তাকে। মৃত তান্ত্রিকের অভিশাপই আজও কেল্লা বহন করে চলেছে এমনটাই মত আশেপাশের বাসিন্দাদের।
জাতিঙ্গা

অসমের জাতিঙ্গা এলাকার ওপর দিয়ে যখনই কোন পাখি উড়ে যায় তখনই কোন এক অজ্ঞাত কারণে সেই পাখির মৃত্যু হয়। দলে দলে পাখি আকাশ থেকে মৃত অবস্থায় পড়ে জাতিঙ্গার মাটিতে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি ভুতের উপদ্রবেই পাখিগুলি মারা যায় এইভাবে।
দুমা সৈকত

গুজরাটের দুমা সৈকত এলাকায় আগে ছিল এক শ্মশান। বহু মৃতদেহের সৎকার হয়েছে সেখানে। যদিও বর্তমানে শ্মশানটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দাহকাজ আর করা হয় না এখানে। তবে এলাকার বাসিন্দাদের মত অনুযায়ী যেসব মৃতদেহের সৎকার হয়েছে এই শ্মশানে তাদের অনেকেই আজও অশরীরী রূপে ঘুরে বেড়ায় এই শ্মশান সংলগ্ন সৈকত চত্ত্বরে।
লম্বি দেহার খনি

সত্যজিত রায় বলে গিয়েছিলেন, “যে করে খনিতে শ্রম, জেনো তারে ডরে যম”। তবে উত্তরাখন্ডের লম্বি দেহার খনিতে বিষ্ফোরণে মৃত্যু হয় বহু শ্রমিকের। শোনা যায় আজও তাদের প্রেতাত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে খনি চত্ত্বরে। রাতের বেলা নানারকম আর্তনাদ ও হাড় হিম করা শব্দ শোনা যায় এই অঞ্চলে।
অগ্রসেন কি বাওলি

দিল্লীর বুকে অগ্রসেন কি বাওলি পর্যটকদের বেশ পছন্দের স্থান। প্রায়শই ছুটি কাটাতে সেখানে ভীড় লেগেই থাকে দেশ বিদেশের পর্যটকদের। কিন্তু সেখানে পর্যটকেরা যখনই আসেন তাদের মনে হয় কে যেন তাদের অনুসরণ করছে।
ডিসুজা চল

মুম্বাইয়ের ডিসুজা চল ভুতুড়ে জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম হিসেবে মনে করা হয়। এই আবাসনের বাসিন্দাদের বিশ্বাস যে কোন এক সময়ে এক মহিলা এই আবাসনের কুয়োয় পড়ে মারা যান। তারপর থেকেই রাতে সেই মহিলার প্রেতাত্মা ঘুরে বেড়ায় গোটা আবাসনে। এমনটাই জানাচ্ছেন বাসিন্দারা।
কুলধারা গ্রাম

এ যেন ভোজবাজি! কালও যে গ্রাম ভরা ছিল মানুষজন পরিবার পরিজনে, রাতারাতি সেখানে নিস্তব্ধতা। ১৮২৫ সালে এমনই ঘটনা ঘটেছিল কুলধারা গ্রামে। কোন এক অজ্ঞাত কারণে রাতারাতি গ্রাম ছেড়ে পালায় গ্রামের সকল বাসিন্দা। তারপর থেকেই এই গ্রামকে অভিশপ্ত আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
রামোজি ফিল্ম সিটি

পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হায়দ্রাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটি। সারাবছরই সেখানে দর্শকের ঢল। তবে এহেন রামোজি ফিল্ম সিটিতেও ভুতের উপদ্রব রয়েছে। শোনা যায় সুলতান আমলে বহু মানুষকে কবর দেওয়া হয়েছিল এই ফিল্মসিটির জমির নীচে। ফলে প্রায়ই আয়নার কাঁচ ভাঙা বা হঠাৎ আলো নিভে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বম্বে হাইকোর্ট

বম্বে হাইকোর্টকেও ভুতুড়ে জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম হিসেবে ধরা হয়। এই কোর্টে বহু অপরাধী ফাঁসির সাজা পেয়েছে। ফলে তাদের অতৃপ্ত আত্মা আজও ঘুরে বেড়ায় কোর্ট চত্বরে এমনই মত অনেক আইনজীবীর।