Khelna Bari: লকডাউনে ঝাড়গ্রাম থেকে টলিপাড়ায় আসা, অভিনয়ের উপার্জন দিয়েই সংসারের হাল ধরেছে মিতুল

জয়ীতা সাহা, কলকাতা: বলতে গেলে খুঁদে অভিনেত্রী। কিন্তু এই খুঁদেই টলিপাড়া কাঁপিয়ে দেঁদার একের পর এক সিরিয়ালে অভিনয় করে চলেছেন। মহামারির সময় যখন সবাই ঘরে আটকে ঠিক সেই সময় দীর্ঘ পথ পেরিয়ে ঝাড়গ্ৰাম থেকে কলকাতায় অডিশন দিতে আসেন আজকের সকলের চেনা মিতুল( Khelna Bari )তথা আরাত্রিকা মাইতি।
টলিপাড়ায় পথ চলা শুরু নিতান্তই ছোট বয়সে। সবে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েছে সে কিশোরী বলা চলে। তাঁর প্রতিভার জোরে প্রথম অডিশনেই জিতে নিলেন বিচারকের মন। সান বাংলায় অন্যতম( Khelna Bari) সিরিয়াল অগ্নিশিখাতে শিখার চরিত্রে অভিনয় করে মন কেড়েছিলেন দর্শকদের এই আরাত্রিকা মাইতি।
অগ্নিশিখা শেষ হওয়ার পর মোটেই অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে, পরবর্তী কাজের জন্য। রীতিমতো প্রথম সারির চ্যানেল গুলোর মধ্যে জি বাংলায় বর্তমানে ‘খেলনা বাড়ি'( Khelna Bari ) নামে নতুন ধারাবাহিকে অভিনয় শুরু হয় তাঁর। এই সিরিয়ালে মিতুল পুতুল গড়তে অত্যন্ত দক্ষ এবং তা দিয়েই সে সংসারের হালও ধরেছে। মিতুলের স্বামী ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী ওরফে বিশ্বজিৎ ঘোষ একজন ব্যাবসায়ী। মিতুল পাল লাহিড়ী-র একটি দত্তক সন্তানও রয়েছে। সবমিলিয়ে( Khelna Bari )মিতুল-ইন্দ্রর খুনসুঁটি, রোম্যান্স নিয়ে নজর কেড়েছে ধারাবাহিকটি। আজ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার। ৭৬-তম স্বাধীনতা দিবসে মিতুল, মিঠাইয়ের মতো চরিত্র গুলি স্বাধীন ভারতে মেয়েরা কতটা স্বাধীন? সেই প্রশ্নে ইঙ্গিত করে।
একদিকে যেমন মিঠাই মিষ্টি বানানোর পরই নিজে স্বাধীনতা পেয়েছে ঠিক তেমনই অন্যদিকে মিতুল( Khelna Bari ) মাটির পুতুল বানানোর পরই স্বাধীন হতে পেরেছে। ধারাবাহিক দুটি আজকের যুগে দাঁড়িয়ে ‘মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে কাজ করা মানায় না’- বলা বেশ কিছু পরিবার তথা মানুষের ভুল ধারণাকে পাল্টে দিতে উদগ্ৰীব তা বলাবাহুল্য। সকলের প্রিয় অভিনেত্রী আরাত্রিকা বর্তমানে মা-বাবার সঙ্গে কলকাতাতেই থাকেন। কলকাতা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনন্সিটিউটেও কাজ করছেন ছোট পর্দার এই অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি। পরবর্তীতে আরও কী কী চমক( Khelna Bari )নিয়ে অপেক্ষা করছে আরাত্রিকা মাইতির অনুরাগীদের জন্য তা শুধু সময়ই বলতে পারবে।