Asha Bhosle: রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী! দুবাইতে নিজের রেস্তোরাঁয় খুন্তি ধরলেন ‘মাস্টারশেফ’ আশা ভোঁসলে

জয়ীতা সাহা, কলকাতা: দেশ থেকে বিদেশ ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর কন্ঠস্বর। আর ঠিক তাঁর কন্ঠস্বরের মতো ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর রেস্তোরাঁও। বর্তমানে ম্যাঞ্চেস্টার, বাহরিন, কুয়েত, আবু ধাবি, বার্মিংহামের মতো শহরের পাশাপাশি দুবাইতে সদ্য খুলেছেন একটি নতুন রেস্তোরাঁ। সুরের রানি আশা ভোঁসলে ( Asha Bhosle ) এখন সেই রেস্তোরাঁর তদারকির জন্যই রয়েছেন মরু শহরে।
কে বলেছে গায়িকা হলে রেস্তোরাঁয় রান্না করা যাবেনা। এবার এই কথাকেই একেবারে কপ্পুরের মতো উবিয়ে দিয়ে তিনি নিজের রেস্তোরাঁয় রান্না করার ভিডিও পোস্ট করেছেন নেটমাধ্যমে। তাঁকে রাঁধুনীর পোশাকে রান্না করতে দেখে অত্যন্ত আনন্দিত তাঁর অনুরাগীরা। জানেন কি, সুরের রানি আশা ভোঁসলের ( Asha Bhosle ) রেস্তোরাঁ রয়েছে সুদূর ইংল্যান্ডেও। শুধু সেখানকার স্থানীয়রাই নন প্রবাসী এমনকী ভারত থেকেও বহু পর্যটক কার্যত ছুটে যান তাঁর রেস্তোরাঁর খাবারের স্বাদ নিতে।
প্রসঙ্গত, তাঁর নাতনির একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এটি স্পষ্ঠ যে, শুধু রান্নায় নয় অতিথি আপ্যায়নেও কোনও ত্রুটি রাখছেন না আশা ভোঁসলে ( Asha Bhosle )। এই পোস্টটিতে চোখ রাখলেই দেখা যাব রেস্তোরাঁ-তে ঢোকবার মুখেই রয়েছে সুন্দর করে সাজানো অপেক্ষা কক্ষ। বেগুনি রঙা আলিশান কাচের উপর বসতে পারবেন, চোখ বুলিয়ে নিতে পারবেন দেওয়ালে টাঙানো গায়িকার সাদা-কালো ফটোফ্রেম গুলিতেও। এরপর মূল রেস্তোরাঁয় প্রবেশ, সেটির অন্দরসজ্জাও চোখ ধাঁধানো।
View this post on Instagram
নাতনির শেয়ার করা ভিডিয়োতেও আশাকে রেস্টুরেন্টের কিচেনে কোনও বিশেষ পদ রান্না করতেও দেখা গিয়েছে। এমনকী রান্না ঠিকঠাক হয়েছে কিনা তা দেখতে রান্নার গন্ধ শুঁকছেন আশা ভোঁসলে। এই ভিডিয়োতে ভালোবাসা উজাড় করে দিচ্ছেন তাঁর অনুরাগীরা। এ প্রসঙ্গে তাঁর (Asha Bhosle ) অনুরাগীদের বক্তব্য-‘গানা আর খানা-মারাত্মক কম্বিনেশন, দুটোই মনের খুব কাছের’। অপর একজন লেখেন, ‘এবার কিংবদন্তি গায়িকার পাশাপাশি মাস্টার শেফও আপনি’।
এমনই সব বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তাঁর ভক্তদের উচ্ছাস প্রকাশ পেয়েছে। জানলে অবাক হবেন শুধু রেস্তোরাঁ বা গান-ই নয় দীর্ঘগত ২০ বছর ধরে হসপিটালিটি বিজনেসে রয়েছেন আশা ভোঁসলে( Asha Voshle )। নিজের রেস্তোরাঁর প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে দেখেন গায়িকা নিজে। মেনুতে ব্যবহারকারী মশলা থেকে রেস্তোরাঁ-র অন্দরসজ্জা, সবটাই তাঁর নিজের পছন্দের। তাহলে একদিন ঘুরেই আসা যায় স্বয়ং সরস্বতীর রেস্তোরাঁ থেকে,কী বলুন?