Bidipta Chakraborty: বৌমা থেকে প্রিয় বন্ধু! সিরিয়ালের মতো কূটকাচালি না, সুখের আলোয় উজ্জ্বল বিদিপ্তা-বিরসার সংসার

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো, ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। প্রায় কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয়তার সঙ্গে সম্প্রচারিত হয়ে আসছে এই ধারাবাহিকটি। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি সকলে অংশগ্রহণ করেন এই শোতে। নানা রকম খেলার সঙ্গে সঙ্গে জীবনের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেন শো-তে আসা পার্টিসিপ্যান্টরা। খেলা, আড্ডা, মজায় জমজমাট শো। সেখানে সেলিব্রিটি স্পেশাল এপিসোডে এসেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা বিদিপ্তা চক্রবর্তী ( Bidipta chakraborty )।

বাংলা বিনোদন জগতের একজন জনপ্রিয় মুখ অভিনেতা বিদিপ্তা চক্রবর্তী। শুধু টেলিভিশন নয় চলচ্চিত্র জগতেও উজ্জ্বল অভিনেত্রী তিনি। অভিনেতা বিপ্লব কেতন চক্রবর্তীর মেয়ে হওয়ার সুবাদে ছোট বেলা থেকেই অভিনয়ের জগতেই বড় হয়ে ওঠা তাঁর। একের পর এক অভিনয়ের মাধ্যমে মন জয় করেছেন দর্শকদের। বর্তমানে বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় শো ‘মিঠাই’-তে মিঠাইরানির শাশুড়ির ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে ( Bidipta chakraborty )। ধারাবাহিকে মিঠাইরানির সঙ্গে দারুণ বন্ডিং তাঁর শাশুড়ি মা’য়ের। তবে জানেন কি রিয়েল লাইফে বিদিপ্তার সঙ্গে তাঁর শাশুড়ির সম্পর্ক কেমন?

img 20220901 210115

২০১০ সালে পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন বিদিপ্তা। এটা ছিল বিদিপ্তার দ্বিতীয় বিয়ে। জনপ্রিয় সঞ্চালিকা চৈতালী দাশগুপ্তের বউমা ( Bidipta chakraborty ) তিনি। যদিও বিরসার সঙ্গে বিয়ের অনেক আগে থেকে চৈতালী দাশগুপ্তের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল বিদিপ্তার। একবার দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে হাজির হয়ে বৌমার সব কীর্তি ফাঁস করেছিলেন চৈতালী দাশগুপ্ত।

img 20220901 210009

চৈতালী বলেন, ‘বন্ধু কখন বউমা হয়ে গেল, সেটা একদম চমকপ্রদ গল্প…’। পাশ থেকে সঙ্গে সঙ্গে হাসিমুখে বিদিপ্তা ( Bidipta chakraborty ) যোগ করলেন, ‘হ্যাঁ, বন্ধু কখন ছেলের বউ গেল… সেটা শকিং’। চৈতালী আরও জানান, ‘বিয়ের পর ও আমার মেয়ে হয়ে গেল। সঙ্গে একটা ফুটফুটে বাচ্চা পেয়েছিলাম। আমার বাড়িটা ভরে গেল। আমার বাড়িতে মেয়ে ছিল না। আমার দুই ছেলে। আর আজ বাড়িময় মেয়ে।….. সব মিলিয়ে আমার ভরপুর সংসার’। এখানে বলে রাখি অভিনেত্রীর প্রথমপক্ষের একটি মেয়ে আছে, যার নাম মেঘলা দাশগুপ্ত। বিরসার সঙ্গে দারুণ বন্ডিং তাঁর।

img 20220901 205922

বন্ধু বউমা হয়ে ঢোকায় পরিবেশ কতটা বদলেছিল? রচনার প্রশ্নের উত্তরে বিদিপ্তা ( Bidipta chakraborty ) বলেন, ‘আমার কাছে কিছু বদলায়নি। বাবা-মা’র প্রতি যে দায়িত্ব ছিল, সেটা শ্বশুর-শাশুড়ির প্রতি থাকবে। আমার কাছে তো শ্বশুরমশাই দাদা আর শাশুড়ি পিসি।’ ছেলে-বউমার লড়াইয়ে সবসময় বৌমা-র পক্ষ নেন চৈতালী দাশগুপ্ত। রান্না-বান্নার ধারে কাছেও হাঁটেন না বিদিপ্তা। বরং শাশুড়ি-বরই তাঁকে রান্না করে খাওয়ায়। রচনা জানতে চান বৌমার মধ্যে কী পরিবর্তন দেখতে চান চৈতালী? তখন চৈতালী বলেন, ‘যদি একটু ঘর-দোরটা গুছোয়।’




Back to top button