‘তোমায় আর ঘুম থেকে জাগানো হবে না…’, বাবার জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়াতে আবেগঘন পোস্ট কেকে কন্যার

অনীশ দে, কলকাতা: মাত্র কয়েকমাস আগেই সবাইকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন কেকে (KK)। তাঁর মৃত্যুর পর গোটা বলিউড সহ দেশের মানুষ শোক জ্ঞাপন করেছে। তবে সবচেয়ে কষ্ট যে পরিবারের। গতকাল এই গায়কের জন্মদিন ছিল। তবে অন্যান্যবারের এইবার আর সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে পারলেন না কৃষ্ণ কুমার কুন্নত (KK)। এমনকী তাঁর পরিবারও এইবার আর শুভেচ্ছা জানাতে পারলেন না এই বর্ষীয়ান গায়ককে। এইবার যেন তাঁর জন্মদিনের উপলক্ষ্য পরিবারের মুখ আরও কালো করে দিয়েছে। কেকের (KK) মৃত্যুর পর একাধিকবার তাঁর সন্তানেরা দুঃখ ব্যক্ত করেছে। তবে গায়কের জন্মদিনে পরিবারের যেন কষ্টের পরিমাণ বেড়ে গেল বেশ কিছু গুণ।

kk 15

এইদিন তাঁর মেয়ে তামারা (Taamara Krishna) কেকে-কে উদ্দেশ্যে করে জানিয়েছে সে কতটা ভালোবাসে নিজের বাবাকে। তামারা নিজেও একজন সঙ্গীত জগতের মানুষ। বাবার মতন সেও গান এবং সুর নিয়েই সারাদিন ব্যস্ত। বাবার জন্মদিনের দিন নিজের ইনস্টাগ্রামে সে (Taamara Krishna) একটি ছবি পোস্ট করে, যা দেখে চোখ ভিজেছে সকলের। পোস্ট করা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ছোট্ট তামারা কেকে-কে কেক খাইয়ে দিচ্ছে তাঁর জন্মদিনে। আর এই ছবিই যেন তাঁকে করে তুলেছে আরও দুর্বল। ছবিটি নিজের দেওয়ালে পোস্ট করে তামারা লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন বাবা, আজ তোমাকে শুভেচ্ছা না জানানো মিস করব। তোমাকে ঘুম থেকে তোলাও মিস করব’।

kk 14

কেকে কন্যা আরও যোগ করেন, ‘তোমার সাথে আর কেক খাওয়া হবে না। আশা করছি যেখানেই থাক সেখানে ইচ্ছামত কেক খেতে পারছ, আর চিন্তা করো না, মায়ের যাতে আজকে মন খারাপ না লাগে সেই দায়িত্ব আমাদের। আমরা মাকে এতটাই জ্বালাব যে সে তোমায় মিস করার সময় পাবে না। আশা করছি আজ রাত্রে তুমি আমাদের গান শুনতে পাবে’। কেকে-র এই দীর্ঘ পথে তাঁর সঙ্গে একমাত্র ছিলেন তাঁর স্ত্রী জ্যোতি কৃষ্ণা। বলিউডের মূলস্রোতের গায়ক হয়ে ওঠার অনেক আগেই পরিণয় সেরেছিলেন কেকে এবং জ্যোতি। কেকে-র কঠিনতম দিনে তাঁকে একমাত্র সাহারা দিয়েছেন স্ত্রী জ্যোতি।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Taamara (@taamara.krishna)

গত ৩১ মে কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন হটাৎ অস্বস্তি বোধ করেন এই বর্ষীয়ান গায়ক। কিন্তু শারীরিক অবনতি হলেও গান থামাননি কেকে। কারন এত মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়েছে যে তাঁকে দেখতে। অনুষ্ঠান শেষে তড়িঘড়ি গাড়িতে করে রওনা দেন কেকে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। হোটেলে ঢোকার সময়ই চূড়ান্ত অসুস্থ বোধ করেন তিনি। তারপর কিছু সময় হয় দৌড়ঝাঁপ তাঁর প্রাণ বাঁচানোর জন্য। আর শেষমেশ সবাইকে ছেড়ে সুরোলোকে পাড়ি দেন কৃষ্ণ কুমার কুন্নত। কোনরকম তালিম ছাড়াই সুরের রাজা হয়ে উঠেছিলেন কেকে। আজ তাঁর মেয়ের পোস্ট দেখে যেন সবার মুখে একটাই গান, ‘জিন্দেগি দো পল কি’।




Back to top button