Asha Bhosle: ন’বছর বয়সেই শুরু সুরের সফর, প্রতিটি কথায় গানের জন্ম দিয়ে আজও সেরার সেরা আশা ভোঁসলে

মন্টি শীল, কলকাতা: সম্প্রতি সিনে তারকাদের নিয়ে বিভিন্ন সময় নেটমাধ্যমে আলোচনায় মগ্ন হতে দেখা গিয়েছে নেটনাগরিকদের। কিন্তু আজ তারকার কথা বলা হতে চলেছে তিনি বিনোদন জগতের একজন কিংবদন্তি শিল্পী শিল্পী। তিনি তাঁর মধুর কন্ঠস্বর দিয়ে অগণিত সঙ্গীত প্রেমীদের মন জয় করেছেন এবং আজ তাঁর ৯০ তম জন্মবার্ষিকী। হ্যাঁ তিনি আর কেউ নন, বিনোদন জগতের একজন প্রতিবান এবং কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলে ( Asha Bhosle )। সূত্র অনুযায়ী, ১৯৩৩ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের সাংলিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
শোনা যায়, শৈশব থেকেই আশা ভোঁসলের ( Asha Bhosle ) গানের প্রতি বিশেষ আগ্রহ জন্মাতে শুরু করে। আর তাই মাত্র দশ বছর বয়সেই তিনি সঙ্গীতের সুরেলা জগতে প্রবেশ করেন। কিন্তু একজন গায়িকা হিসেবে তাঁর শুরুটা মোটেই সুখের ছিলনা। কারণ জানা গিয়েছে, কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলের ( Asha Bhosle ) বয়স যখন ছিল মাত্র ৯ বছর তখন তাঁর বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর প্রয়াত হন। যার পর স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের পরিবারে নেমে আসে আর্থিক সংকটের অন্ধকার কালো ছায়া। যা দুর করার জন্য আশা ভোঁসলে তাঁর বোন লতা মঙ্গেশকর ( Lata Mangeshkar ) এক সঙ্গে গানের জগতে প্রবেশ করেন।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলের বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর ছিলেন সে সময়ের একজন জনপ্রিয় এবং সুপরিচিত নাট্য শিল্পী। এখানেই শেষ নয়, শোনা যায়, একজন নাট্য শিল্পী হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দীনানাথ মঙ্গেশকর ছিলেন একজন জনপ্রিয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী। তাঁর হাত ধরেই খানের প্রথম তালিম পান আশা ভোঁসলে এবং তাঁর বোন লতা মঙ্গেশকর। আশা ভোঁসলে তাঁর সমগ্র কেরিয়ারে ১২,০০০ টিরও বেশি গান করছেন। যার মধ্যে রয়েছে একাধিক বিভিন্ন ভাষার গান। যা গায়িকাকে জনপ্রিয়তার এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিতে সহায়তা করেছে।
তবে কেরিয়ারে বিপুল সফলতা অর্জন করলেও আশা ভোঁসলের ব্যক্তিগত জীবন একাধিক উত্থান পতনে পরিপূর্ণ রয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, যখন তাঁর বয়স মাত্র ১৬ বছর ছিল তখন তিনি একজন সচিব গনপত রাও ভোঁসলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী করেননি। মাত্র ১১ বছর দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করার পর আশা ভোঁসলে বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীতকার আর ডি বর্মণকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। যদিও সেই সম্পর্কও বেশিদিন স্থায়ী করেনি। কারণ জানা গিয়েছে, মাত্র ১৪ বছরের সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করার পর আর ডি বর্মণ প্রয়াত হন। তবে ব্যক্তিগত জীবনে সময় তাঁর সঙ্গ না দিলেও কেরিয়ারে বিপুল সফলতা অর্জন করেন তিনি। শোনা যায় গানের সঙ্গে সঙ্গে এই কিংবদন্তি গায়িকা একটি সিনেমাও করেছেন। যার নাম ছিল ‘মাই’। যেটি ২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল। তবে হাজারও উত্থান পতন থাকলেও আশা ভোঁসলে যে আজীবন সঙ্গীত প্রেমিদের মনে চিরতরুন থাকবে তা বলতে কোনও দ্বিধা নেই।