Parveen Babi: মনে প্রেম বিরহের যন্ত্রণা, ফ্ল্যাটে পড়ে পচে ছিল দেহ! পারভীন ববির মৃত্যুতে আজও রহস্যের চাদর

পূর্বে বলিউডের একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী ছিলেন পারভীন ববি ( Parveen Babi ) । এই বলি অভিনেত্রীর প্রতিভার কোনও অভাব ছিল না। তবে নিজ কাজে দক্ষ হলেও ব্যক্তিগত জীবনে সুখের কোনও চিহ্ন ছিল না তাঁর। অনস্ক্রিনে আমরা দেখে এসেছি তাঁর অভিনীত চরিত্রদের জীবন যেন একেবারে রূপকথার গল্পের মতো সাজানো। কিন্তু বাস্তবে তাঁর জীবন অনেক বেশি ভয়াবহ ছিল। ব্যক্তিগত জীবন, প্রেম জীবন কোনও কিছুই সুখ দিতে পারেনি এই অভিনেত্রীকে। এমনকী তাঁর মৃত্যুও ছিল বেদনাদায়ক।
১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মেছিলেন পারভীন ববি। ১৯৭০ এর দশকে বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর চেহারার গড়ন, মুখের অঙ্গি ভঙ্গি, নিখুঁত অভিনয় এসবের জন্যই খুব দ্রুত বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন পারভীন। তখনকার সময়ের অভিনেত্রীদের মধ্যে সর্বাধিক আয় ছিল তাঁর। এমনকি এ কথাও শোনা গিয়েছে যে, তাঁকে দিয়ে ছবি করানোর জন্য নাকি তাঁর বাড়ির বাইরে প্রযোজকদের লাইন পড়ে যেত। শুনে বুঝতেই পারছেন বলিউডে ঠিক কতটা জনপ্রিয় মুখ ছিলেন তিনি। কিন্তু এত কিছুর পরও মনে শান্তি ছিল না তাঁর।
অভিনয় জীবনে বহু বিখ্যাত অভিনেতার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পারভীন ববির। অনেকের সঙ্গে সম্পর্কেও জড়িয়েছিলেন তিনি। প্রথমে তিনি ড্যানি ডেনজংপার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এরপর বিখ্যাত অভিনেতা কবীর বেদীর সঙ্গেও সম্পর্কে ছিলেন তিনি। কিন্তু বেশ কিছু সময় পর বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। কবীরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পারভীনের জীবনে এসেছিলেন মহেশ ভট্ট। বিখ্যাত এই পরিচালকের সঙ্গে বহুদিনের সম্পর্ক ছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু সেই সময় মারণ রোগ সিজোফ্রেনিয়ার শিকার হন পারভীন।
জানা গিয়েছে, তাঁর চিকিৎসার জন্য মহেশ ভট্ট তাঁকে লন্ডনেও নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও তাঁর অবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। এরপর মহেশও তাঁকে ছেড়ে চলে যান। প্রসঙ্গত, অনেক বেদনাদায়ক মৃত্যু হয়েছিল এই অভিনেত্রীর। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছিল নিজ ফ্ল্যাটে মরে পড়েছিলেন পারভীন। তার মৃত্যুর তিন দিন পর হদিশ পেয়েছিল পুলিশ। শরীরে তাঁর পচন ধরেছিল। আর সেই গন্ধ পেয়েই প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেন। এরপরই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল তাঁর পচন ধরা শরীর।