Pranitha subhash: নতজানু হয়ে স্বামীকে ঈশ্বর রূপে পুজো! অজয় দেবগনের নায়িকার কান্ড দেখে তীব্র কটাক্ষ নেটিজেনদের

অনেক মানুষ মনে করে থাকেন বলিউডের অভিনেত্রীরা খুবই আধুনিক। আর এই আধুনিকতার ছোঁয়াতেই তাঁরা নিজেদের সংস্কৃতি ,পরম্পরা সব কিছুকে জলাঞ্জলি দিয়ে দেন। তবে এই ধারণা একেবারেই ভুল। আমরা বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাই যে, এমন বহু অভিনেত্রী রয়েছেন যাঁরা নিজেদের স্বামী, সন্তান এবং পরিবারের মঙ্গল কামনায় বহু ব্রত পালন করে থাকেন। কিন্তু বর্তমানের বহু নারীবাদীরা এসবের বিরোধী। আর বিভিন্ন সময়ে এসব নারীবাদীদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে বহু অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি এরকম একটি ঘটনার শিকার হলেন ‘ভূজ: দ্য প্রাইড অফ ইন্ডিয়া’ ছবির অভিনেত্রী প্রণিতা সুভাষ ( pranitha subhash ) ।

বেশ কয়েকদিন আগেই ছিল ভীমা অমাবস্যা। আর সেদিন নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছিল এই অভিনেত্রীকে। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট হওয়া সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল স্বামীর পায়ের কাছে বসে রয়েছেন প্রণিতা সুভাষ। তাঁর কাছে ছিল একটি আরতির থালা। ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে স্বামীর পা ধুয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। আর এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার পর পরই বেশ কিছু নারীবাদীদের তীব্র কটাক্ষের শিকার হন অভিনেত্রী।

 

আসলে কর্ণাটকের মহিলারা নিজেদের স্বামী এবং পরিবারের মঙ্গল কামনায় ভীমা অমাবস্যার দিন ব্রত পালন করে থাকেন। এই ব্রত পালন করার সময় তারা নিজেদের স্বামীর পা ধুয়ে দেন এবং আরতি করে থাকেন। প্রণিতার এদিনের পোস্ট করা ছবিগুলি দেখে প্রচুর মানুষ তাঁর প্রশংসা করলেও অনেকের কথায় এখনকার সময়ে দাঁড়িয়ে এরূপ রীতি পালন করা তার একেবারেই উচিত হয়নি। অনেকে আবার এরকম অভিযোগও করেন যে তিনি নাকি সমাজকে পিছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।

সম্প্রতি এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী প্রণিতা। এইসব কটাক্ষকে তিনি কোন পাত্তা দেননি বলেই জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়,“ আমার এই পোস্ট সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই ভাল কথা বলেছেন, তাই বাকিদের আমি পাত্তা দিই না”। এছাড়াও তিনি পরে আরও কথা যোগ করেন। তিনি বলেন,“ ইন্ডাস্ট্রিতে আসা মানে এই নয় যে নিজের সংস্কৃতি, পরম্পরা সব আমি ভুলে যাব”। অভিনেত্রীর কথায় পূর্বেও তার পরিবারের সকল মহিলারা এই রীতি পালন করে এসেছেন, আর তাই তিনিও এই রীতি পালন করছেন। এককথায় আধুনিক হওয়ার পাশাপাশি যে নিজের সংস্কৃতিকে ধরে রাখা যায়, একথাই বুঝিয়েছেন প্রণিতা সুভাষ।




Back to top button