Saif Ali Khan: ভাগ্যের পরিহাস! নবাব-পুত্র হয়েও হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত সইফ

মন্টি শীল, কলকাতা: সম্প্রতি নেটমাধ্যমে নজর রাখলে দেখা যাবে রূপোলি পর্দার তারকাদের নিয়ে এক গভীর আলোচনাতে মগ্ন রয়েছেন নেটনাগরিকরা। যদিও এই আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তু তারকাদের পেশাগত জীবনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন। আর ইদানিং নেটিজেনদের এমনই এক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন বলিউড নবাব পুত্র তথা অভিনেতা সইফ আলি খান ( Saif Ali Khan )। রূপোলি পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন একজন নবাব পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতামহ অর্থাৎ হামিদুল্লাহ খান ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের নবাব।
তাঁর প্রয়াণের পর বংশপরম্পরায় প্রথমে মনসুর আলি খান পতৌদি এবং পরে তাঁর ছেলে সইফ আলি খান ( Saif Ali Khan ) নবাবের সিংহাসনে উপবেশন করেন। সূত্র অনুসারে জানা গিয়েছে, অভিনেতা সইফ আলি খান পতৌদি পরিবারের দশম তম নবাব। অতএব নবাব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিনেতা সইফ আলি খান যে বিপুল সম্পদের মালিক তা বলতে কোনও দ্বিধা নেই। বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বলিউডের এই অভিনেতা এই মুহূর্তে ৫০০০ কোটি টাকার মালিক। কিন্তু অভিনেতা সেই সম্পত্তি থেকে এক টাকাও খরচ করতে পারবেন না। এমনকী তাঁর সন্তানরা অর্থাৎ পতৌদি পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মও এই সম্পত্তির অধিকারি হতে পারবেন না।
কারণ পতৌদি পরিবারের এই বিরাট সম্পত্তিতে রয়েছে একাধিক আইনি জটিলতা। যার দরুন বিরাট সম্পত্তির মালিকানা থাকা সত্তেও অভিনেতা সইফ আলি খান নিজের ইচ্ছেতে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন না। বলে রাখা ভাল, হরিয়ানাতে অভিনেতা সইফ আলি খানের জন্য রয়েছে পতৌদি প্রাসাদ। শুধু তাই নয়, ভোপালেও রয়েছে অভিনেতার একাধিক সম্পত্তি। যদিও এই সমস্ত সম্পত্তি তিনি বাবা মনসুর আলি খান পতৌদির কাজ থেকে লাভ করেছেন। কিন্তু হরিয়ানার প্রাসাদ সহ তাঁর সমস্ত সম্পত্তি ভারত সরকারের শত্রু বিরোধ আইনের আওতায় চলে এসেছে। যার ফলে সম্পত্তির মালিকানা থাকা সত্তেও সে তাঁর মালিক ফলে বিবেচিত হবেন না।
কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল পতৌদি পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মকে? জানা গিয়েছে, সইফ আলি খানের পিতামহ হামিদুল্লাহ খান তাঁর এই বিরাট সম্পত্তির কোন উইল তৈরি করে রেখে যাননি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পতৌদি পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম অর্থাৎ সইফ আলি খানের সন্তানরা এই বিপুল সম্পত্তির মালিকানা গ্রহণ করতে চান তবে তাঁদের আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হতে হবে। শুধু তাই নয়, এই বিপুল সম্পত্তি অর্জন করতে হলে প্রয়োজনের দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ হতে পারে তাঁদের। অতএব ধরে নেওয়া যেতে পারে, এই ৫০০০ কোটি টাকার বিপুল সম্পদ অর্জন করতে হলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে পতৌদি পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মকে।