Amrish Puri: আমি ভিলেন হলেও আমার বউ হিরো! অমরেশ পুরীর ট্র‍্যাজিক প্রেম কাহিনি চোখে আনবে জল

মন্টি শীল, কলকাতা: সচরাচর দেখা যায় সিনেমা নিয়ে অনুরাগীদের মাঝে চর্চার সূত্রপাত ঘটলেই উঠে আসে বলিউডের তাবড় তাবড় খলনায়কের নাম। যাদের মধ্যে এমন কিছু অভিনেতা রয়েছেন যারা যারা সিনেমা প্রেমীদের মনে পাকাপাকিভাবে একজন ‘ভিলেন’ হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। আর ঠিক এমনই একজন বহুল চর্চিত বলিউড অভিনেতা তথা ভিলেনের নাম হল ‘অমরেশ পুরী’ ( Amrish Puri )। অনেকেই মনে করেন, বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে যতদিন ভিলেনদের নাম চর্চার বিষয় হয়ে থাকবে, ঠিক তত দিন এই সেরা ভিলেনদের তালিকায় একেবারে শীর্ষ স্থানে অবস্থান করবেন অমরেশ পুরী ( Amrish Puri )।

বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক তারকারাই রয়েছেন যারা তাদের ব্যক্তিগত জীবনের জন্য আলোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন, হয়েছে অনেক বিতর্ক। অভিনেতা অমরেশ পুরীর ( Amrish Puri ) অভিনয় কেরিয়ারের সঙ্গে সকলেই বিশেষ ভাবে পরিচিত। কিন্তু এমন অনেকেই রয়েছেন যারা অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অবগত নন। রূপোলি পর্দার চরিত্রকে বাস্তবায়িত করে তুলতে মেয়েদের টিটকিরি কাটা থেকে শুরু করে তাদের পোষাক ধরে টানা কিছুই বাদ যায়নি। কিন্তু শুনলে অবাক হবেন একজন ভিলেন হিসেবে বড়পর্দায় যতটা ভয়ানক ছিলেন অমরেশ পুরী ( Amrish Puri ), ঠিক ততটাই রোমান্টিক ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে।

13c33

শোনা যায়, কোনওরকমের নেশার জালে জড়াননি অভিনেতা অমরেশ পুরী। এমনকী বলিউডকে কেন্দ্র এক দীর্ঘ অভিনয় কেরিয়ার সম্পূর্ণ করলেও কোন দিন কোনও রকমের লাভ অ্যাফেয়ার্সে নাম জড়ায়নি অভিনেতার নাম। যদিও এর কারণ তাঁর স্ত্রী। শোনা যায়, অভিনেতা তাঁর স্ত্রীর প্রতি ভীষণ যত্নশীল এবং অনুগত ছিলেন। যার জন্য তিনি কোনও দিন অপর কোনও মেয়ের দিকে নজর উঠিয়ে দেখেননি। সূত্র অনুসারে, ১৯৩২ সালের ২২ শে জুন পাঞ্জাবে জন্মগ্রহন করেছিলেন বলিউডের এই খলনায়ক। সম্প্রতি এক একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিনেতা অমরেশ পুরীর নাতি হর্ষবর্ধন পুরী তাঁর দাদুর অজানা জীবন কাহিনী প্রকাশ্যে তুলে ধরেন।

13c32

হর্ষবর্ধন বলেছিলেন, “অভিনেতা তাঁর অভিনয় কেরিয়ারের সূচনা করার পূর্বে এক বীমা সংস্থাতে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই অমরেশ পুরীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সাক্ষাৎ হয়। সেখান থেকেই তাদের প্রেমের সূচনা হয়। যা পরবর্তী সময়ে বিয়ের বন্ধনে পরিনত হয়।” জানা গিয়েছে, অভিনেতা ছিলেন একজন পাঞ্জাবী পরিবারের সন্তান। অপরদিকে তাঁর স্ত্রী ঊর্মিলা ছিলেন দক্ষিণ ভারতীয় পরিবারের কন্যা। যদিও তাঁরা হার মানেননি, দীর্ঘ লড়াই চালানোর পর অবশেষে পরিণতি পায় তাদের দুজনের সম্পর্ক। হর্ষবর্ধন তাঁর দিদার সম্পর্কে বলেছেন, “তাঁর দাদু অমরেশ পুরী যখন তাঁর অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু করতে যাচ্ছিলেন সেই সময় পরিবারের সমস্ত দ্বায়িত্ব নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি।” তাই একদা অভিনেতাকেও বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘ পর্দায় তিনি একজন খলনায়ক হলেও, তাঁর আসল হিরো তাঁর স্ত্রী।’




Back to top button