Vidya-Mahesh: “ফোন রেখে গাড়ির মধ্যে শুধু কেঁদে ছিলাম”, মহেশ ভটের কথাতেই ভেঙে পড়েছিলেন বিদ্যা বালান

জয়ীতা সাহা, কলকাতা: বলিউডে যখন একের পর এক মুভি ফ্লপ করছে তখন সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান কার্যত কেঁদে ফেলেছিলেন পরিচালক মহেশ ভাটের ফোন কলের ফলে। বলিউডে ছবি ফ্লপ হওয়ার কথা প্রায়শই শোনা যায়, তবে জানেন কি আজকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান অভিনীত অনেক একসময় ছবি ফ্লপ হয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী মহেশ ভাটের পরিচালনায় অভিনয় করা ছবি ফ্লপ হওয়ার কথায় ভেঙে পড়েন। কেন তানি সেদিন অঝরছ কেঁদেছিলেন তাও তিনি সেই সময়ের একটি সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে জানিয়ে ছিলেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক তাঁর সঙ্গে পরিচালকের ঠিক কি কথা হয়েছিল এবং কেন তিনি কেঁদেছিলেন।
আজকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান-কে কে না চেনে। তবে একটা সময় ছিল যখন কেউই তাঁকে সেভাবে চিনতেন না। তিনি সবসময় পরিচালক মহেশ ভাটের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন। ২০০৩ সালে বাংলা চলচ্চিত্র ভালো থেকো ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে অভিনেত্রী বিদ্যা বালানের। এরপর ২০০৫ সালে হিন্দি ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ ঘটে অভিনেত্রী-র। তাঁর অভিনীত কয়েকটি ছবি যেমন হামারী আধুরি কাহানি, ডার্টি পিকচারের মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন অভিনেত্রী। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে অভিনেত্রী সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। যদিও তাঁর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির অনেক অভিনেতারই নাম জড়িয়েছে বেশ কয়েকবার। তবে অভিনেত্রী তা সবসময় অস্বীকার করেছেন ।
মহেশ ভাটের সঙ্গে কাজ করতে চাওয়ার পরও সফল হননি তিনি। মহেশ ভাটের পরিচালনায় একটি ছবিতে অভিনয় করার পরও ছবিটি ফ্লপ করে। সেই সময়ের একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন,” মহেশ ভাটের থেকে রবিবার একটি ফোন কল আসে আমার ফোনে উনি বলেন হামারী আধুরি কাহানি ছবিটি চলবে না। কলটি আসার পর আমি অঝোরে কেঁদেছিলাম। তখন সিদ্ধার্থ আমাকে একটি মন্দিরে নিয়ে যাচ্ছিল। খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। গাড়ির মধ্যে বসে আমি যেমন কেঁদেছিলাম তা হয়তো ওই বৃষ্টিকেও হার মানাবে।”
অভিনেত্রী আরও জানিয়েছিলেন,” আমি শুধু ভেবেছিলাম যে আমি কি ভুল করেছি? আমি কি সত্যিই ঠিক করেছি? তারপর ভাবলাম যা হয়েছে হয়েছে। আবার নতুন করে শুরু করি। পুরোনো নিয়ে পড়ে থেকে লাভ নেই।” হামারী আধুরি কাহানী-র আগেও অভিনেত্রী-র তিনটে ছবি ফ্লপ করে ছিল। তাই হামারী আধুরি কাহানী-র ওপর অনেক ভরসা করেছিলেন অভিনেত্রী।