Ryan Guha Neogi: জামা হয়েছে পনেরোটা, শহর জুড়ে হেঁটেই ঠাকুর দেখতে ব্যস্ত বোধি

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: বুদ্ধিতে তাঁর সঙ্গে পেরে ওঠা খুবই কঠিন। গোয়েন্দাগিরি হোক বা জিকে-ম্যথামেটিক্স সবেতেই একেবারে সর্বেসর্বা। তবে এত কিছুর মধ্যে বাঙালিয়ানাটা কিন্তু ভোলেনা একেবারেই। বুঝতে পারছেন কার কথা বলছি? ইদানিং খুবই ভাইরাল হচ্ছে সে। টেলিভিশনের পর্দায়ও রোজ দেখা যায় তাকে। বোধবুদ্ধির যেন কোনও অভাবই নেই তার। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, আপনাদের সকলের প্রিয় বোধসত্ত্ব ( Ryan Guha Neogi )।

বাংলা ধারাবাহিকের প্রথম সারির চ্যানেল জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘বোধসত্ত্বর বোধবুদ্ধি’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় ছোট্ট বোধিকে। ধারাবাহিকে দুর্দান্ত বুদ্ধিমান বালকের চরিত্রে অভিনয় করে সে। এই কয়েকদিনেই একাধিক ভক্ত তার। ধারাবাহিক প্রেমি মানুষদের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছে সে। তবে জানেন, বাস্তব জীবনে কেমন ধারাবাহিকের বোধি ( Ryan Guha Neogi )।

img 20221002 181000

এক সংবাদমাধ্যম থেকে বোধির সাক্ষাৎকার নেওয়া হলে তার বিষয়ে অনেক অজানা কথা বেড়িয়ে আসে। ব্যক্তি জীবনেও একেবারে আশি শতাংশ বোধির মতোই সে তাই অভিনয় করার সময় বাড়তি চাপ অনুভব করে না সে। সহজাতভাবেই সবটা ফুটিয়ে তুলতে পারে। বাস্তব জীবনেও নাকি এটা-সেটা আবিষ্কার করতে চায় বোধির মতোই। এই কথা গুল জানিয়েছেন বোধির মা মৌমিতা গুহ নিয়োগী ( Ryan Guha Neogi )। অর্থাৎ, রায়ানের মা।

হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন বোধির আসল নাম রায়ান বসু নিয়োগী। বয়স মাত্র ৭ বছর। গড়িয়ায় তার বাড়ি।সেন্ট লরেন্স স্কুলে পড়ে সে। তবে সারাদিন শুটিং নিয়েই ব্যস্ত থাকাই স্কুল যেতে পারে না রায়ান। লেখাপড়ায় খুব মন থাকাই স্কুলের থেকেও সহযোগিতা পায় সে। ফলে লেখাপড়া ও শুটিং দুটোই সমান তালে করতে পারে। এটাই রায়ানের ( Ryan Guha Neogi ) প্রথম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়। আর প্রথম অভিনয়তেই বাজিমাত করেছে এই খুদে।

img 20221002 181052

খুদে শিল্পী জানায়, ষষ্ঠী পর্যন্ত ১৩টা ঠাকুর দেখে নিয়েছে সে। গত দু’বছর কোনও ঠাকুরই ঠিকভাবে দেখতে পারেনি সে ( Ryan Guha Neogi )। তাই এবার পঞ্চমীর দিন শুটিং শেষ করেই বাবা-মায়ের হাত ধরে বিরামহীন ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছে। বলেছে, “আমি এবার অনেক-অনেক ঠাকুর দেখব। আজ দেখব নাকতলা, সুরুচির ঠাকুর। জানো আমার ১৫টা জামা হয়েছে…”

জটিলতাবিহীন সরল কণ্ঠে সাক্ষাৎকারে অনর্গল কথা বলে ‘বোধি’ ( Ryan Guha Neogi )। জানায় একের পর এক কথা। সে বলে, শুটিং ফ্লোরের আঙ্কল-আন্টিরা তাকে কালার পেনসিল সেট, রং, আঁকার খাতা এ সব উপহার দিয়েছে পুজোয়। পেয়েছে চকোলেটও। কারণ, জামাকাপড়ের চেয়ে এগুলোই সে বেশি পছন্দ করে। তার মায়ের থেকে জানা গেল, দেবদ্বিজে নাকি খুব ভক্তি রায়ানের। কেবল দুর্গা পুজো নয়, জন্মাষ্টমী, বিশ্বকর্মা, গণেশ চতুর্থী – সব পুজোতেই ঈশ্বরের আরাধনা করে তবেই সে শুটিং করতে যায়।




Back to top button