SANDAKPHU Trek: বাতাসে আগমনীর সুর, বাবা হাত ধরেই পুজো দেখবে বলে আশা সান্দাকফুতে নিখোঁজ দীপেশের মেয়ের

জয়ীতা সাহা, কলকাতা: দুর্গা পুজো একেবারে দোড়গোড়ায়। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া। পুজোর আগে বেশিরভাগ পরিবারের মানুষ যখন শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা-তে ব্যস্ত, তখন বাবার সঙ্গে পুজোর শপিং করবে বলে অপেক্ষা করছে অশোকনগরের ছোট্ট মেয়েটি। দিন গুনছে বাবার বাড়ি ফিরে আসার। মা দুর্গার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাবাও ফিরে আসবে সেই আসাতেই স্ত্রী স্বপ্না সাহা এবং তাঁর মেয়ে অস্মিতা অপেক্ষা করছেন।
গত তিন মাস ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ট্যুর ব্যবসায়ী দীপেশ সাহাকে। তাঁর স্ত্রী স্বপ্না সাহা একাধিক বার প্রশাসনের দারস্ত হচ্ছেন। প্রশাসন চেষ্টা করছে তাঁর স্বামীকে খুঁজে বের করার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনাও খবর নেই বলেই সূত্রের খবর। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা দীপেশ সাহা একজন ট্যুর ব্যবসায়ী এছাড়াও তাঁর একটি নকল গয়নার দোকান রয়েছে। নিখোঁজ হবার পর থেকে কার্যত দুটো ব্যবসায় বন্ধ হতে বসেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন দীপেশের স্ত্রী স্বপ্না সাহা। তাঁর কথায়,” ঘরে জমানো যতটুকু পুঁজি ছিল, প্রায় নিঃশেষ। এখন সংসার চালাতে একটা কাজের ভীষণ প্রয়োজন।” সদ্য মাধ্যমিক পেরিয়েছে মেয়ে অস্মিতা। প্রতি বছর বাবার সঙ্গেই শপিং সেরে পুজোতে ঠাকুর দেখতে বেরোয় সে। এ বছর তার কিছুই হয়নি বাবা-ই তো বাড়ি ফেরেনি। তবে তিন মাস নিখোঁজ থাকার পরও তার বাবা আগমনীর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ফিরবেন এমন আশাতেই দিন গুনছে ছোট্ট অস্মিতা। একেতে বাবাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার উপর সংসারের ভাঁড়াড়ে টান পড়েছে। দীপেশের স্ত্রী একবার প্রশাসনের দ্বারে আর একবার কাজের খোঁজে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাঁর কথায় ” একটা কাজের খুব দরকার।”
গত ২৪ এপ্রিল অশোকনগরের ট্যুর ব্যবসায়ী দীপেশ সাহা তাঁর বন্ধু বাবাই দে সহ অশোকনগর থেকে ১৮ জন যাত্রীকে নিয়ে সান্দাকফু যাত্রা করেছিলেন। অশোকনগর, হাবরা, রাজারহাটের মোট ১৮ জন যাত্রী নিয়ে ২৫ এপ্রিল নেপাল হয়ে মানেভঞ্জন ঢুকেছিলেন দীপেশ। তারপর ২৮ এপ্রিল মানেভঞ্জন থেকে টুমলিং হয়ে সান্দাকফু ঘুরে ফিরে এসেছিলেন তাঁরা। সেইদিন সকালেই এসএসবি-র ক্যাম্পের পাশ দিয়ে জঙ্গলে ঘুরতে যান দীপেশ আর তাঁর বন্ধু বাবাই দে। তারপর থেকেই নিখোঁজ দু’জন। তাঁদের খোঁজে পুলিশের অনুমান নেপাল সিমান্ত বরাবর বা ওই এলাকায় পথ হারিয়েছেন দু’জনে।