Aratrika Maity: ঝাড়গ্রামের মাধ্যমিক পাস মেয়ে থেকে ‘খেলনা বাড়ি’র মিতুল! পেয়ে গেলেন মনের মানুষ, জীবন বদলের গল্প

বিনোদন জগৎ একজন মানুষের জীবন একেবারে বদলে দিতে পারে। লাইট-ক্যামেরা- অ্যাকশনের দুনিয়ায় অনেক অসম্ভব সম্ভব হয়ে যায়। উঠতি অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও পেয়ে যান ব্যাপক সাফল্য। জীবনের দৌড় এই জগতে খুবই দ্রুত। যার হাতে শক্ত লাগাম থাকে সেই পৌঁছতে পারে। এমন অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী রয়েছে যারা প্রথম অভিনয়েই বাজিমাৎ করেছে। প্রায়শই দেখা যায়, নিজস্ব পরিচয় প্রায় বিলুপ্ত হয়ে সেই চরিত্রের নামেই নামকরণ হয়ে যায় অভিনেত্রীদের। যেমন পাখি,কাজল, বাহা, যমুনা, আর সম্প্রতি মিঠাই। তেমনই সেই তালিকায় নতুন নাম ‘খেলনা বাড়ি’ ধারাবাহিকের মিতুলের।
অল্প বয়সে অনেক স্বপ্ন থাকে মানুষের। কেউ হবে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা পাইলট। অভিনয়ের মতো রোমাঞ্চকর পেশাকে অল্প বয়সেই ভালোবেসে যারা অভিনয়ে এসেছেন তাদের মধ্যে মিতুলও একজন। মিতুলের আসল নাম আরাত্রিকা মাইতি। সদ্য মাধ্যমিক পাশ করেই চোখে রঙিন দুনিয়ার স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় এসেছিল মেয়েটি। ঝাড়গ্রামের মফস্বল শহরে থাকা মেয়ে আরাত্রিকা টিভি দেখে নায়িকা হতে চাইত। সেই লক্ষ্যে বাবা-মাকে সঙ্গে করে পা রেখেছিল কলকাতার টেলি পাড়ায়। ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছিল আসলে কি এভাবেই টেলিভিশনে সুযোগ পাওয়া যায়! আর তারপরই ম্যাজিকের মতো ঘটতে থাকল সবকিছু।
প্রথমেই জোটেনি মুখ্য চরিত্র। তবে ‘জি বাংলা’র তৎকালীন সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ধারাবাহিকে ক্ষণিকের জন্য দেখা গিয়েছিল তার মুখ। একটি সংলাপবিহীন ছোট্ট চরিত্রে রানি রাসমণিতে আসেন তিনি। তারপরই অগ্নিশিখা ধারাবাহিকে কাজের প্রস্তাব আসে। শিখা চরিত্রে অভিনয় করে আরাত্রিকা। সেটা ছিল সান বাংলা চ্যানেলের হয়ে কাজ। এখন কলকাতা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনন্সিটিউটেও কাজ করছে।
তবে এর মাঝেই ঘটে গেল সবচেয়ে বড়ো রদবদল। একেবারে মুখ্য চরিত্রে সুযোগ পেলেন জি বাংলায়। ‘খেলনা বাড়ি’ ধারাবাহিকের মিতুল চরিত্রটিকে বেশ ভালোবাসেন দর্শক। মিতুলের মতো দৃপ্ত চরিত্রকে সকলেই ভালোবাসেন। ইন্দ্র-মিতুলের টক ঝাল মিষ্টি গল্প বেশ পছন্দ করেন দর্শক। এর মাঝে ইন্ড্রাস্ট্রিতে এসে পেয়ে গিয়েছেন মনের মানুষও। ‘উমা’ ধারাবাহিকের অভিনেতা সৌর ভট্টাচার্যকেই মন দিয়েছেন অভিনেত্রী। এর আগে সান বাংলায় একই ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন দু’জন। এবারের পুজোর পাঁচদিন কাছের মানুষের সঙ্গে আনন্দে মাতলেন পর্দার মিতুল।বিনোদন জগত কয়েক মাসেই পাল্টে দিল জীবন।