Mithai: “জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁচিয়েছে আমার প্রাণ”, বাস্তবেও দাদাইয়ের জীবন বাঁচিয়ে মন জিতেছে মিঠাইয়ের আদৃত

বাংলা ধারাবাহিকের জগতে বিপ্লব ঘটিয়েছে মিঠাই, অগনিত ভক্ত সংখ্যা নিয়ে বাংলা ধারাবাহিকে রাজ করছে মিঠাই। শুধু গল্পের জন্য নয়, ধারাবাহিকের প্রতিটি চরিত্র হয়ে গেছে দর্শকদের একেবারে ঘরের লোক। ধারাবাহিকের হিরো-হিরোইনের পাশাপাশি প্রত্যেকটি চরিত্রকে অসম্ভব ভালোবাসে মিঠাই প্রেমীরা। মনোহরা পরিবারকে একছাতার তলায় আগলে রেখেছেন সিদ্ধেশ্বর মোদক, অর্থাৎ সকলের প্রিয় দাদাই। দাদাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। আর তার নয়নের মনি হল সিদ্ধার্থ ওরফে আদৃত। দাদু-নাতির রসায়ন বরাবর মিঠাই প্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। দাদুর আদর-ভালোবাসা মানুষকে নস্টালজিক করে তোলে। সেই দাদু-নাতি বাস্তবে কেমন জানেন?
এক সাক্ষাৎকারে আদৃত জানায়, বিশ্বজিৎ বাবুর মতো মানুষের সঙ্গে কাজ করা সৌভাগ্যের তেমনি নিজের দাদুর সঙ্গে যতটা আন্তরিকতা ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল আদৃতের ততটাই কাছের মানুষ মিঠাইয়ের দাদাই। আবার বিশ্বজিৎ বাবু জানিয়েছেন, সিদ্ধার্থ অর্থাৎ আদৃত তার আরও এক নাতি। এমনকী তার পরিবারের মানুষ জানেন মিঠাইয়ের সিড আসলে তাঁর আরও এক নাতি। আদৃতের সঙ্গে তার হৃদয়ের টান। আদৃত সবসময় বিশ্বনাথ বাবুর খেয়াল রাখেন, প্রণাম করা, গাড়ির গেট খুলে দেওয়া, বয়সের ভার থাকায় সবসময় চোখে চোখে রাখা আদৃত সব করে। এমনকি শুধু পর্দা তেই নয় পর্দার বাইরেও দাদুর মিষ্টি খাওয়া নিয়ে রাগারাগি করে আদৃত। হল্লা পার্টির সঙ্গে হই-চইয়ে মাতোয়ারা হয়ে যান দাদাই, কিন্তু সিড অফ স্ক্রিনও দাদাই বেশি নাচানাচি করলে তাকে ধরে রাখে। এই বয়সেও চিরসবুজ বিশ্বজিৎ বাবুর উচ্ছ্বাস আর উদ্যোম সকলের থাকা উচিত বলে মনে করেন। শুধু ছোট খাটো বিষয় নয়, একেবারে প্রাণহানির আশঙ্কার মতো ঘটনাতেও আদৃত নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিশ্বনাথ বাবুকে রক্ষা করে। কী ঘটেছিল সেদিন?
হানিমুন পর্বে, সিড-মিঠাই যে পাহাড়ি অঞ্চলের মাঝে নিজেদের ভালোবাসাকে মেলে ধরেছিল। সেখানেই সিদ্ধার্থ ও সিদ্ধেশ্বর বাবুর ঘোড়ায় চড়া এবং মিঠাই ও ঠাম্মির ঘোড়ায় চড়ার শ্যুটিং ছিল। কিন্তু বিশ্বনাথ বাবু ঘোড়ায় ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ঘোড়াটি লাফিয়ে ওঠে। একেবারে পড়ে গিয়ে সাংঘাতিক বিপদ ঘটতে চলেছিল। এসময় সিড লাফিয়ে এসে হিরোর মতোই ধরে নেয় তার দাদাইকে। পাহাড়ি রাস্তার দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে আদৃত নিজের জীবনের পরোয়া করেনি। বিশ্বজিৎ বাবু জানান,আদৃত বলেই এটা করেছে। এসময় আদৃতের চোখে জল চলে আসে । তিনি বলেন, আদৃত সু অভিনেতা, সুগায়ক, সুপুরুষ, সুমানব একজন মানুষের মধ্যে এতগুলো গুণ একসঙ্গে থাকে না। আদৃত বলেই সেটা সম্ভব হয়েছে। আদৃতের গুণ কাহিনী শুনে মুগ্ধ হয়েছে দর্শক। বিশেষ করে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাদাইকে বাস্তবে উদ্ধারের ঘটনা শুনে তারা অসংখ্য সাধুবাদ বাহবা দিচ্ছে।