Amrita Singh: জীবন যেন ভাঙা-গড়ার মঞ্চ, সইফের আগে আরও দু’জনের বাগদত্তা ছিলেন অমৃতা, ভেঙেছিল বিয়ে

বলিউডের কোন কোন মানুষের জীবন সিনেমার বাইরে গিয়েও চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে। ভাগ্যের পরিহাস যাদের পিছু ছাড়ে না তেমনই একজন অভিনেত্রী অমৃতা সিং। অমৃতা সিং ফিল্ম জীবনের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছিলেন। সূত্রের খবর, দু’জন নামজাদা ব্যক্তি সইফ আলি খানের আগেও এসেছিলেন অমৃতার জীবনে। কিন্তু বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন কারণে সেই সম্পর্কতেও ভাটা পড়ে। কোন কোন ব্যক্তির সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল অমৃতার?
অমৃতা সিং বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক হয়েছিল ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে। আসলে রবি শাস্ত্রী এবং অমৃতা সিং একসময় অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্কে ছিলেন।এমনকী রবি ও অমৃতা শীঘ্রই বিয়ে করবেন এমন ধারণা প্রচলিত ছিল । কিন্তু বিয়ের আগেই তাদের বিচ্ছেদের খবর সামনে এসেছিল। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিয়ের ঠিক আগে অমৃতার সামনে একটি শর্ত রেখেছিলেন রবি শাস্ত্রী। বিয়ের শর্ত ছিল অমৃতা বিয়ের পর আর চলচ্চিত্রে কাজ করবেন না। অমৃতা রবির এই শর্তে একেবারেই নারাজ ছিলেন। এই কারণে তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল।
এখানেই শেষ নয়। অমৃতার ভাগ্যে লেখা ছিল অন্য গন্তব্য। অমৃতা সিংয়ের নাম কেবল রবি শাস্ত্রীর সাথেই নয় কিংবদন্তি অভিনেতা বিনোদ খান্নার সাথেও যুক্ত ছিল। বিনোদ খান্না ও অমৃতা সিংকে ‘বাঁতওয়ারা’ ছবিতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। বলা হচ্ছে, এই ছবির শুটিং চলাকালীনই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। কিন্তু এখানেও হতাশ হয়েছিলেন অমৃতা। বিনোদ খান্না এবং অমৃতা সিং একে অপরকে খুব ভালোবাসলেও অভিনেত্রীর মা সম্মতি দেননি তাদের সম্পর্কে।
আসলে বিনোদ খান্না আগেই বিবাহিত ছিলেন এবং তিনি অমৃতা সিংয়ের চেয়ে বয়সেও অনেক বড় ছিলেন। এইকারণে অভিনেত্রীর মা চাননি যে তার মেয়ে বিনোদ খান্নার সাথে বিবাহিত হোক। প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে সাইফ আলি খানকে বিয়ে করেন অমৃতা। যাইহোক, বিয়ের ১৩ বছর পরেও নিয়তি পিছু ছাড়ল না। ২০০৪ সালে সইফ-অমৃতার বিবাহবিচ্ছেদ হয়।