Guddi: পরকীয়া-শারীরিক সম্পর্ক দেখিয়ে জনরোষের মুখে ‘গুড্ডি’, ‘নোংরামি বন্ধ হোক’ বলছেন দর্শক

সম্প্রতি স্টার জলসায় জনপ্রিয় সিরিয়ালের তালিকায় যুক্ত হয়েছিল ‘গুড্ডি’র নাম। নিজের অভিনয় দক্ষতা ও চরিত্রটির দৃঢ়তায় গুড্ডি চরিত্রে শ্যামৌপ্তি মুদলি মানুষের মনের অন্দরে জায়গা করে নিচ্ছিল ধীরে ধীরে। অনুজ চরিত্রেও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন রনজয়। হঠাৎই বদলে গেল গল্পের গতিবিধি। সম্প্রতি ‘গুড্ডি’ ঘিরে তৈরি হয়েছে জনরোষ। দর্শকদের তীব্র ঘৃণার মুখে পরছে এই ধারাবাহিক। হঠাৎ কী এমন ঘটল জানেন?
সম্প্রতি কূটকাচালি, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, শত্রুতা ভুলে কিঞ্চিৎ ইতিবাচক দিকে মুখ ফিরিয়েছিল বাংলা ধারাবাহিক। কিন্তু ‘গুড্ডি’র চলতি পর্ব ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। বিয়ে ভেঙে ডিভোর্স দেওয়ার পরও পুরোনো স্ত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন ধারাবাহিকের নায়ক অনুজ। কিছুদিন ধরে একটানা দ্বিতীয় বিয়ে, পুরানো স্ত্রী গুড্ডির প্রতি দুর্বলতা, আবার তাকে ঘিরেই অশান্তি, অপমান, অনুজের মেরুদন্ড হীনতাকে তুলে ধরছিল। তাও এ পর্যন্ত দর্শক মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু সর্বদা গুড্ডি’র ওপর খবরদারি করা এবং দ্বিতীয় স্ত্রী শিরিনকে ভুলে পুনরায় প্রথম স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করাকে চরিত্রহীনের পরিচয় বলে মনে করছেন দর্শক। শুধু তাই নয়, টিআরপির জন্য নেতিবাচক প্রচারমুখী হতেও ছাড়ছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। বিয়ে হওয়ার পর থেকেই যেন শিরিনকে আর পছন্দ নয় অনুজের। একসময় প্রথম বউ গুড্ডিকে যাকে সে দু চোখে সহ্য করতে পারত না, তাঁকেই আবার পেতে চায় সে। এজন্য বারবার গুড্ডিকে বলছে অনুজ, ‘আমাকে একটা রাত দাও তোমার’। আর এখানেই শেষ নয়, শেষ এপিসোডে দেখানো হয়েছে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একসঙ্গে এক বিছানায় রাত কাটাচ্ছে অনুজ-গুড্ডি। সেখানে অবাধে দেখানো হয়েছে নানা রকম ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত।
গুড্ডি’র সঙ্গে অনুজের ঘনিষ্ঠ রগরগে দৃশ্য দেখানো নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভের সঞ্চার ঘটছে। ফলে ধারাবাহিকের ওপর বেজায় চটেছেন দর্শক। ধারাবাহিক নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা ও অশ্লীলতার অভিযোগে লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে বিঁধছেন দর্শক। এমনকী পরিবারের সঙ্গে বসে এধরণের দৃশ্য টেলিভিশনের পর্দায় দেখতেও তারা অস্বস্তিবোধ করছেন। এভাবে ডিভোর্সের পর প্রথম স্ত্রীর দুর্বলতার সুযোগ নেওয়াকে তারা মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না। এই সিরিয়ালের মাধ্যমে কোন ভালো বার্তা যায় না সমাজে এমনই অভিযোগ। পরকীয়াকে প্রশয় দিয়ে লেখিকা কী বোঝাতে চাইছেন সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একটি মেয়ের পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গল্প শুরু হলেও তাকে সম্পূর্ণ বিকৃত করে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
অজস্র মানুষ ধারাবাহিকের বিপক্ষে কথা বলেছেন। এক ব্যবহারকারীর মন্তব্য, ‘এটাই লেখিকার লেখার ধরন, গল্পের খেই হারিয়ে গেলে বা মাথামুন্ডু কিছু না থাকলে এইসব আর কি, এতে যে তথাকথিত টি আর পি বাড়ে না, কবে যে বুঝবেন তিনিই জানেন’। অপর একজনও বলেছেন, ‘অসুস্থ নোংরা মানসিকতার ভাবনা চিন্তা। চ্যানেলকে অনুরোধ জানাচ্ছি এই ধরণের লেখকদের প্রশ্রয় দেবেন না।সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করুন।’ একজন জলসা ভক্ত অনুরাগীর মন্তব্য, ‘লীনা গঙ্গোপাধ্যায় মনে হয় পরোকিয়ার গল্প লিখতে খুব ভালোবাসেন , তাই ওনার প্রতিটি সিরায়ালে শুধু পরোকিয়া আর পরোকিয়া।’