Bollywood Actor: ছোট্ট ভুলে ডুবেছে কেরিয়ার! বি-টাউনের লাইমলাইটে বহু দূরে ছিটকে গিয়েছেন এই তারকারা

বাংলা প্রবাদ ‘লঘু পাপে গুরু দন্ড’ এই কথাটি যেন ধ্রূব সত্য হয়ে উঠেছে বলিউডের বেশ কিছু অভিনেতার জীবনে। শেক্সপিয়ারের ট্রাজেডির নিয়তি যেন তাঁদের টেনে নিয়ে গেছে অতল সমুদ্রে। একটি ছোট্ট ভুলের বলি হয়েছে তাঁদের উঠতি উজ্জ্বল ক্যারিয়ারকে।একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে জীবন। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক অভিনেতা রয়েছেন, যাদের বলিউডে অভিষেক হয়েছিল রমরমিয়ে। সাফল্যের মুখ ও দেখছিলেন অত্যন্ত দ্রুত। কিন্তু তারপর তাদের ভুল সিদ্ধান্তে নিজের পায়ে কুড়াল মারার মত হয়ে গেল। এমন আটজন অভিনেতা কিন্তু আপনার খুব চেনা আসুন দেখে নিই
বিবেক ওবেরয় ২০০২ সালে রাম গোপাল ভার্মার ফিল্ম কোম্পানির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। বিবেক ওবেরয় এবং ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সম্পর্ক ২০০৩ সালে ‘কিউন হো গয়া না’-এর সেটে শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ে ঐশ্বরিয়ার প্রাক্তন প্রেমিক সালমান খান তাকে হেনস্থা করতে শুরু করেন, বলে অভিযোগ করেন। এ সময় সাংবাদিক সম্মেলন করে সালমান খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন বিবেক। সালমানের উপর এর কোনো প্রভাব পড়েনি ঠিকই, কিন্তু বিবেক ওবেরয়ের ক্যারিয়ার থমকে গিয়েছিল। বিবেক নিজেই একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা তাকে কাজ দিতে নারাজ। যারা তাকে ফেলেছিল তারা বিভিন্ন অজুহাতে তাকে বের করে দিতে থাকে ফ্লিম ইন্ডাস্ট্রি থেকে।
শক্তি কাপুরকে কে না চেনে! কিন্তু সেই শক্তি কাপুরের কেরিয়ারেও দাগ লাগে। ২০০৫ সালে , একটি স্টিং অপারেশনে ধরা পড়েন এবং ছবিতে একটি মেয়েকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করেন। এই কেলেঙ্কারি শক্তি কাপুরের ক্যারিয়ারে এমন দাগ ফেলেছিল যে আজও তাকে খুব কমই ছবিতে দেখা যায়।
অভিজিৎ ভট্টাচার্য একসময় সঙ্গীত জগতের পরিচিত নাম। বাংলার শিল্পী বোম্বে খ্যাত হয়েছিলেন। শাহরুখ খানের কণ্ঠ হিসেবে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু নিজের বিপদ নিজেই ডেকেছিলেন। কিন্তু অল্পদিনেই তিনি ইন্ডাস্ট্রির লোকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে শুরু করেন। এমনকি করণ জোহর, ভাট এবং তিনজন খানদের ‘দালাল’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। ব্যাস! প্রভাবশালীদের কোপের মুখে পড়ে কেরিয়ার ধ্বংস হয় তার।
শাইনি আহুজা বলিউডের ‘হাজারোঁ খোয়াইশেন অ্যাসি’, ‘গ্যাংস্টার’ এবং ‘ভুল ভুলাইয়া’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন। কিন্তু ২০০৯ সালে, তিনি তার ১৯ বছর বয়সী দাসীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। তাকে ৭ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয়। তারপর থেকে, শাইনি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি।
ফিরোজ খানের ছেলে ফারদিন খানের ক্যারিয়ার ভালোই চলছিল। কিন্তু ২০০১ সালে, তিনি মাদক পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। তখন তার কর্মজীবনে মন্দা দেখা দেয়। ‘নো এন্ট্রি মে এন্ট্রি’ দিয়েই আবার বলিউডে ফেরার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে তাঁর
আমান ভার্মা এক সময় টিভির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। চলচ্চিত্রেও প্রচুর কাজ পাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০৫ সালে, একটি নিউজ চ্যানেলের একটি স্টিং অপারেশনে, তাকে কাজের বিনিময়ে একটি মেয়ের কাছ থেকে যৌন সুবিধা চাইতে দেখা যায়। আর এখানেই কেরিয়ারে সমস্ত সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যায়।
মনীষা কৈরালা ৯০- এর দশকের একজন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী ছিলেন। ‘সওদাগর’, ‘১৯৪২- এ লাভ স্টোরি’ এবং ‘বোম্বে’-এর মতো ছবিতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু বলা হয়, ক্যারিয়ারের শীর্ষে এসে তিনি মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েন । এসময় থেকেই মুখ্য চরিত্র থেকে বাদ পড়তে থাকেন। শেষ মেশ কেরিয়ারে তালা পরে যায়। এরপর ক্যান্সার ধরা পড়েছিল, তারপরে তিনি আর কখনও ফিরে আসতে পারেননি।