Dia Mirza: “আড়াই মাস ছেলেকে স্পর্শ করতে পারিনি” সন্তানের কথায় চোখে জল অভিনেত্রী দিয়া মির্জার

মাতৃত্ব একটা সংগ্রাম। সন্তান ধারণ থেকে সন্তান জন্ম দেওয়া এমনকী তাকে লালন পালন করে তোলার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেন মায়েরা। আর মায়েদের কোন বিভাজন নেই তিনি গৃহবধূ হোন বা কর্মকতা। সকলের মাতৃত্বের জার্নিটা সমান। বলিউড ( Bollywood ) খ্যাত অভিনেত্রী ‘দিয়া মির্জা’র ( Dia Mirza )মাতৃত্বের সময়টা ছিল ভয়ংকর। কোন কিছুই স্বাভাবিক ছিল না তাঁর গর্ভধারণের। ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন দিয়া মির্জা। মধুচন্দ্রিমায় বেরাতে গিয়েই দিলেন সুখবর। তবে এর পরই শুরু হল আসল লড়াই। ২০২১ সালের মে মাসে আভ্যান আজাদ রেখির জন্ম হয়। আর তারপর ই আড়াই মাস মায়ের চোখের আড়ালে ছিলেন খুদে সন্তান। কিন্তু কেন জানেন?

ফেব্রুয়ারিতে মাতৃত্বের খবর পেলেন, মে- তে সন্তান জন্ম দিলেন মির্জা। সময়কালের বিচারে এ এক অবিশ্বাস্য কান্ড। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন মাত্র পাঁচ মাস বয়সেই জন্ম নেয় আভ্যান। একজন অপরিনত বাচ্চা হিসেবেই জন্ম নেয় সে। পারিবারিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই ব্যবসায়ী বৈভব রেখিকে বিয়ে করেছিলেন দিয়া। জুলাই ২০২১ সালে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়ে প্রি-ম্যাচিওর ছেলের জন্ম দেওয়ার খবর দেন তিনি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দিয়া স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছি আমি। হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ি আমি। অ্যাপেনডিক্সের অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন ছিল গর্ভাবস্থাতেই। তখন আমার মাত্র পঞ্চম মাস চলছে। আর সেই অস্ত্রোপচারের ফলে শরীরে কোনও একটি ভয়ানক সংক্রমণ হয় এবং শুরু হয় রক্তক্ষরণ। চিকিৎসক জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যে সন্তানকে জন্ম দিতে হবে, নাহলে বাচ্চাটি সেপটিক শকে চলে যেতে পারে। যাতে মা ও বাচ্চা দুজনেরই প্রাণহানির আশঙ্কা আছে।সন্তান জন্মের প্রথম ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে করা হয় অপারেশন। এরপর দ্বিতীয় অপারেশন করা হয় যখন আভ্যানের বয়স যখন সাড়ে ৩ মাস।”


অভিনেত্রী তার সন্তানকে ‘মিরাকেল বেবি’ বলে সম্বোধন করেন। মাত্র পাঁচ মাস বয়স থেকে অসম্ভব লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন ছোট্ট শিশুটিও। বাঁচার কোনও আশাই ছিল না। তবু দিয়া মনে করতেন, যত ই কষ্ট হোক আমার সন্তান আমাকে ছেড়ে যাবে না। আড়াই মাস পরে সন্তানকে প্রথম ছুঁতে পেরেছিলেন। আড়াই মাস আই সি ইউতে ছিল বাচ্চাটি। এমনকী চিকিৎসক ও সেবিকাদেরও অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁর সন্তানকে কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। আভ্যানের শক্তি নিয়েও গর্বিত মা তিনি। আভ্যানের প্রথম যখন কথা ফোটে সে উচ্চারণ করে টাইগার। তাই সন্তান যে অসীম শক্তিশালী তা বিশ্বাস করেন দিয়া নিজেও। অভিনেত্রী জানান, ‘ এই টুকুখানি ছোট্ট ছিল, কোভিডের সর্বোচ্চ সময় চলছে তখন সপ্তাহে দুদিনের বেশি ওর কাছে যেতেই পারতাম না। তাই খুব কঠিন ছিল সময়টা। যদিও মনে মনে আমি জানতাম ও আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না।লড়াই করে ফিরে আসবে।’


মাতৃত্বের কারণে বেশ কিছুদিন ছবির বাইরে। কর্মসূত্রে সূত্রে দিয়াকে শেষ দেখা গিয়েছে তাপসী পান্নুর ‘থাপ্পড়’-এ। খুব জলদি তিনি রূপোলি পর্দায় ফিরবেন ‘ধক ধক’ দিয়ে। অনুভব সিনহার ‘ভিড়’-এ অংশ নেওয়ার কথা দিয়ার, তবে আগের তুলনায় ছবি কম হবে তার সন্তানের জন্য।




Back to top button