Jeetu Kamal: অভিনয়ে ‘অপরাজিত’, তবু পরাজিত রসনার কাছে! পুজোয় বিরিয়ানি খেতে কোথায় ছুটে যান জিতু?

অভিনয়ে তিনি ‘অপরাজিত’ ( Aparajito ) শুধু পরাজিত রসনার কাছে। পুজো ( Durga Puja 2022 ) এলেই তাই শুরু হয় পেটপুজো। সারাবছরের স্ট্রিক্ট ডায়েটকে ছুঁড়ে ফেলে এই কদিন কবজি ডুবিয়ে খেতে ভালোবাসেন জিতু। হ্যাঁ কথা হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা জিতু কামালকে নিয়ে। এই জনপ্রিয়তা বহু পুরানো নয়, তবে এই খ্যাতি জিতুর ( Jeetu Kamal ) অর্জিত।
‘অপরাজিত’র পর বদলে গেছে জীবন। ছোট পর্দার অভিনেতা থেকে বড়ো পর্দার তারকা। এক সিনেমার সব টুকু সাফল্য চেটেপুটে উপভোগ করছেন অভিনেতা। এখনও তার ডাক আসছে বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের থেকে। একবার মানস রূপী সত্যজিৎকে দুচোখ ভরে দেখার আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষা করে রয়েছেন বহু মানুষ। সেজন্য বিভিন্ন উদ্বোধনের বা ইভেন্টে যাচ্ছেন তিনি। তবে ষষ্ঠীর শ্যুটিং শেষে একটা দীর্ঘ বিরতি। পুজোর কটা দিন কি করবেন জিতু?
লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের চেয়ে বেশ কিছুটা দূরে আড্ডায় ডুব দেবেন জিতু। বাড়ি বসেই জমবে দেদার আড্ডা। সঙ্গী সাথীদের তালিকায় স্কুলের বন্ধুরা। আজও তারাই সবচেয়ে কাছের বন্ধু জিতুর। নস্টালজিক জিতুর কাছে ফেলে আসা ছেলেবেলা ঘুরে ফিরে আসে বারবার। আড্ডার টপিকেও বারবার ছেলেবেলার কথা। উৎসবের দিনগুলোতে স্ত্রী নবনীতা দাস এবং বন্ধুরাই তাঁর সঙ্গী। ঢাকের আওয়াজ আর মাইকের কোলাহলের মাঝেই আরও একবার জীবন্ত হয়ে উঠবে স্কুল জীবনের দুষ্টুমি, প্রথম প্রেম আর মন ভাঙার গল্পরা।
তবে খাওয়া দাওয়াতে এ কদিন লাগামহীন। বন্ধুদের সঙ্গে বাইক নিয়ে সোজা ব্যারাকপুর। খাবার অর্ডার দেওয়ার থেকে পুজোর দিনগুলোয় বাইরে খেতে যেতে বেশি ভালোবাসেন জিতু। তার মতে, ‘আমরা বন্ধুরা মিলে গাড়ি করে ব্যারাকপুর চলে যাই। সেখানকার বিরিয়ানি ছাড়া পুজো ভাবাই যায় না। এ বছরও তা-ই করব। এখন চাইলে অর্ডার করেও বাড়িতে খাবার আনানো যায়। কিন্তু সবাই মিলে গিয়ে খাবার আনার মজাটাই আলাদা! আমরা আগাগোড়াই তাই করে এসেছি’।
আর রইল বাকি তারকা তকমা। মানুষ জনের ভীড়। জিতুকে দেখলে ছুটে আসেন অনেকেই। কিন্তু তাই বলে কি রাস্তায় বেরাবেন না! আর পাঁচজন মানুষের মতোই নিজেকে মনে করেন জিতু। তারকার জায়গায় নিজেকে দেখেন না কোনদিন। মানুষের হাত ধরেই যখন এত সাফল্য, তখন মানুষই যদি হাত ধরতে চায় তাতে ক্ষতি কি!